ভোল বদল! দিল্লি যাচ্ছি না, মমতার পাশে আছি, একসঙ্গে লড়াই করতে হবে: শতাব্দী

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি: রাজ্য তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে রীতিমতো দড়ি টানাটানি খেলা খেলছে বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে। কখনও তৃণমূল থেকে বিধায়কদের ছিনিয়ে নিতে সমর্থ হচ্ছে বিজেপি, আবার কখনো জিতেন্দ্র তেওয়ারির মতো বেসুরো নেতাদের ফের নিজেদের দলে বুঝিয়ে-সুজিয়ে রাখতে সমর্থ হচ্ছে তৃণমূল। শতাব্দী বেসুরো হওয়ার আভাস পেতেই প্রথমে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত বরফ গলল সাংসদ শতাব্দী রায় ও তৃণমূলের মধ্যে। শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতরে বৈঠক শেষে শতাব্দী রায় জানিয়ে দিলেন, শনিবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না। এই সময় প্রত্যেককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে বৈঠক শেষে বেরিয়ে শতাব্দী জানান, “আমার যা সমস্যা হচ্ছিল সেগুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি। উনি বলেছেন সেগুলোর সমাধান হবে। আমি দিল্লি যাচ্ছি না।” যদিও মুকুল রায় যে তাঁকে ফোন করেছিলেন সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শতাব্দী। তবে শতাব্দী আবারও বলেছেন, দলের অন্দরে যা সমস্যা রয়েছে তা অন্দরেই মিটবে। আপাতত দিল্লি যাত্রা স্থগিত।

এদিন সকাল থেকেই শতাব্দী রায়কে ঘিরে একের পর এক নাটকীয় পর্ব। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ তোলেন তিনি। জানিয়ে দেন, শনিবার ফেসবুক লাইভে নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। শতাব্দীর এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয় নতুন করে জল্পনা। এরপরই সাংসদের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে ছোটেন কুণাল ঘোষ।
এর মাঝেই বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ফোন করেন শতাব্দীকে। প্রথমে আলাদা করে শতাব্দীর সঙ্গে, এরপর অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যান কুণাল। সেই চেষ্টা যে শেষপর্যন্ত ফলপ্রসূ হল, তা শনিবার শতাব্দীর সংবাদমাধ্যমের সামনে বয়ানে স্পষ্ট। আর অন্তত এই বাজি জিততে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *