Sheikh Shahjahan, custody, CBI, টানাপোড়েনের ইতি! আর খালি হাতে নয়, শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিল সিবিআই

আমাদের ভারত, ৬ মার্চ: টানাপোড়নের ইতি। শেষ পর্যন্ত সিবিআই, শাহজাহানকে হেফাজতে নিল। ভবানী ভবন থেকে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েই ফিরলো সিবিআই। যদিও আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছিল। বুধবার ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরোয় সিবিআই আধিকারিকরা। জানাগেছে, সংশ্লিষ্ট মামলার কাগজপত্রও সিআইডি, সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে।

দীর্ঘ টানাপোড়নের পর অবশেষে শাহজাহানকে নিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালের দিকে রওনা দেয় সিবিআই। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। শাহজাহানের। এরপর তাকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সন্দেশখালি কান্ডের তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিল শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে। ওই নির্দেশের পরই ভবানী ভবনে পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষার পর শাহজাহানকে না নিয়ে ফিরতে হয় তাদের। সিআইডি জানায়, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে গেছে রাজ্য, তাই এই মামলাটি বিচারাধীন। যদিও রাজ্যের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হয়ে যায় শীর্ষ আদালতে। তারপর বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির কাছে এই নিয়ে আবেদন জানাতে পারে রাজ্য। কিন্তু আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল থাকছে।

অন্যদিকে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। বুধবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিকেলেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শাজাহানকে। তারপর ভবানী ভবনে পৌঁছে যায় সিবিআই। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। দীর্ঘ সময় ধরে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলে। অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিজাম প্যালেস থেকে ভবানী ভবনে পাঠায় সিবিআই। কিন্তু ঘড়ির কাঁটায় যখন প্রায় পাঁচটা আদালতের দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেলেও কেন শাজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইডি রাজ্যের বিরুদ্ধে আবারও আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার তোড়জোড় শুরু করে।

তারপর সন্ধে নাগাদ দেখা যায়, শাহজাহানকে
এসএসকেএমে নিয়ে গিয়েছে সিআইডি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় তার। তারপর ছটার পর আবার শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবনে যায় রাজ্য পুলিশ। তার বেশ কিছুক্ষণ পর শাহাজাহানকে হাতে পায়ে সিবিআই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সিবিআই সন্দেশখালি কান্ডের তিনটি এফআইআর করেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে একটিতে সন্দেশখালির অশান্তিতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *