আমাদের ভারত, ৩ জুলাই: উত্তরবঙ্গের পর এবার দক্ষিণ বঙ্গ। হ্যাঁ কোচবিহারের পর এবার উত্তর ২৪ পরগনা। বিজেপি করায় এক মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল আবার রাজ্যে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দিকেই।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। বিজেপির তরফে অভিযোগ, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে শ্যামনগরের এই পরিবারকে বার বার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। এরপর বুধবার ওই পরিবারের মহিলা যখন কলে জল আনতে যান সেই সময় একদল দুষ্কৃতি তার উপর হামলা চালায়। ওই মহিলার অভিযোগ,
হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি ছিল।
বুধবারের এই ঘটনার পর আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে বিজেপির অন্যান্য কর্মী সমর্থকরাই বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই মহিলা।
আক্রান্ত মহিলার কথায়, “৪ জুন থেকে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারছি না। বেরলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। জল নিতে গিয়েছিলাম জলও নিতে দেয়নি। আমার নাইটি ছিড়ে দিয়ে মেরেছে।”
তার দাবি, বিজেপি করার কারণে এভাবেই মাটিতে ফেলে তাকে মারধর করা হয়েছে। মহিলা বলেন, “আমি বিজেপিকে ভালোবাসি এটা কি আমার অন্যায়?” স্থানীয় স্তরে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন জানিয়েছেন, তৃণমূলকে ইচ্ছে করে বদনাম করতেই এই ধরনের ঘটনাকে তৃণমূলের সাথে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সিংহ ভাগ ক্ষেত্রে প্রমাণিত এগুলি কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গ্রাম্য বিবাদ বা পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। তাঁর দাবি, প্রশাসন তদন্ত করবে এবং দেখা যাবে এক্ষেত্রেও অন্য ঘটনা ঘটেছে কি না।