শেষপর্যন্ত সত্যিই কমলনাথের ঢাল হলো করোনা ! মধ্যপ্রদেশে হল না আস্থা ভোট

আমাদের ভারত, ১৬ মার্চ:গতকাল থেকেই জল্পনা ছিল করোনাকে ঢাল করে ফ্লোর টেস্ট পিছিয়ে দিতে চাইছেন কমলনাথ। সোমবার সকালে অধিবেশন শুরু হতেই শেষ জল্পনা সত্যি হল। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হল মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা অধিবেশন। অতএব আস্থা ভোট ও হবে ১০ দিন পর। বেশ কিছুটা সময় পেয়ে গেলেন কমলনাথ।

রাজ্যপালের ভাষণের পরই বিরোধীরা চিৎকার শুরু করেন আস্থা ভোটের দাবিতে। অন্যদিকে সরকার পক্ষের বিধায়করা বিধানসভায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তাদের দাবি করোনার এই আতঙ্কের মধ্যে আস্থা ভোট অগণতান্ত্রিক। প্রথমে অধ্যক্ষ ১০ মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত করেন। পরে জানিয়ে দেন ২৬ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি থাকবে। যদিও মুলতবির কাজ স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

করোনার আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে বন্ধ স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর তার রেশ এবার পড়ল বিধানসভাতেও। আর সেই সুযোগে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কমলনাথ সরকার। আজ অনেক বিধায়ককেই দেখা গেছে মুখে মাস্ক পড়ে বিধানসভায় আসতে।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য হাতে সংখ্যা নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের গলায় ছিল প্রত্যয়-এর সুর। বলেছিলেন অল ইজ ওয়েল দেখা যাক সোমবার কি হয়। বিশ্লেষক মহলে আন্দাজ করেছিল করোনা আতঙ্ককেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কমলনাথ।

এদিন অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যপাল লালজী ট্যান্ডন দীর্ঘ বক্তৃতা রাখেন নি, বরং তিনি বলেন, সংবিধান মেনে কাজ করুন মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা সুরক্ষিত করা খুব জরুরি। কংগ্রেসও বিধায়কদের জয়পুর থেকে ভোপাল এ নিয়ে এসেছে এদিন। বিধায়কদের মধ্যে দুজনের করোনা সংক্রমণের লক্ষণ মিলেছে বলে বলা হচ্ছে। যদিও এই তথ্য কতটা সত্যি তা জানা যায়নি। কিন্তু সূত্রের খবর হরিয়ানা ব্যাঙ্গালুরুতে থাকা বিধায়কদেরও পরীক্ষা করা হতে পারে।

কিন্তু এত কিছুর মাঝে কমল নাথের হাতে আরও ১০ দিন সময় চলে এলো এটাই বড় কথা। হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা না থাকলেও বারবার কমল নাথ বলেছেন চিন্তার কিছুই নেই। সরকার তার হাতে থাকবেই। কিন্তু ঠিক কিভাবে? তাহলে কি এটাই কি ছিল সেই পথ?

এখন কমলনাথ ৯৯ জন বিধায়ক নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছেন। যার মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছে ৯২ জন। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। কারণে ঐ দিনের মধ্যেই বাজেট পেশ করতে হবে। এদিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও শিবরাজ সিং ইতিমধ্যে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর সোমবার যদি ফয়সালা না হয় তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *