আমাদের ভারত, ২৮ জানুয়ারি:প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা সহ রাজধানীর একাধিক জায়গায় কৃষকদের একাংশের তাণ্ডবের পর কিছুটা হলেও কোণঠাসা হয়েছে আন্দোলন কারি কৃষক সংগঠনগুলি। ওই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে কৃষক সংগঠনের ঐক্যের মধ্যে। কৃষক জোট থেকে সরে গেছে ২ টি কৃষক সংগঠন। এবার ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেটের দিন সংসদ ভবনে অভিযান বাতিল করল কৃষকরা।
ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ ২৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জনকে। তার মধ্যে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নেতা বলবীর এস রাজেয়াল ঘোষণা করেছেন বাজেট পেশের দিন সংসদে ভবনে অভিযান আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। সংগঠনের বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। তবে সংসদ অভিযানের পরিবর্তে আগামী ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবসের দিন দেশজুড়ে মিছিল করবে কৃষক সংগঠনগুলি। একদিনের অনশন হবে ওই দিন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন নিরাপত্তা বলয় ভেঙে লালকেল্লায় ঢুকে পড়েছিল একাংশের বিক্ষোভকারী কৃষকরা। লাল কেল্লার গম্বুজে উঠে তারা ধর্মীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়। এনিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার দাবি লালকেল্লায় যারা তান্ডব করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কৃষকরা জাতীয় পতাকাকে শ্রদ্ধা করে লালকেল্লায় যা হয়েছে তা বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ করেছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজেওয়াল আরও বলেন সরকারের পাতা ফাঁদে পড়ে গেল ট্রাক্টর মিছিল। ঐ মিছিল ভাঙার চেষ্টা হলেও ৯৯% কৃষক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছেন।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদ অভিযান আপাতত বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদবও। লালকেল্লার ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেছেন যা হয়েছে তাতে মাথা হেট হয়ে যায়। বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন কিষান মোর্চার তরফে গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাদের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদ অভিযান বন্ধ রাখা হচ্ছে।