আমাদের ভারত, ৩০ জুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল যাওয়ার পর থেকেই ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। এই মারাত্মক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পাওয়ার খবর দিল হাওয়া অফিস। বর্ষা ঢোকার খবর দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। এছাড়া উত্তর প্রদেশ থেকে পশ্চিম বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহের শেষে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কেরলে বর্ষা ঢুকেছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে। বৃহস্পতিবার নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসমের বেশিরভাগ অংশে বর্ষা ঢুকেছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনে তা হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে প্রবেশ করতে পারে। তার উপযোগী পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে।
সাধারণত জুনের প্রথম সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। এবার রেমালের কারণে একটু আগেই বর্ষার প্রবেশের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে বর্ষা যতক্ষণ না ঢুকছে ততক্ষণ বলা যাবে না রাজ্যে আগে না পরে আসছে বর্ষা।
বর্ষা প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ের ভূমিকা রয়েছে। যার মধ্যে এ বছর অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে রেমাল। তবে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা তেমন হেরফের হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্র ও শনিবারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সব জেলাতেই। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের নয়টি লোকসভায় ভোটগ্রহণ। ওই দিন দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। অর্থাৎ সব জায়গায় বৃষ্টি হবে এমনটা নয়। কিন্তু রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভোট গণনা আগামী মঙ্গলবার ৪ জুন। সেদিনও দক্ষিণের সব জায়গাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।