সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৮ জুলাই: বাঁকুড়ায় বহু প্রতিক্ষীত গন্ধেশ্বরী নদী বাঁধ প্রকল্প রূপায়নে প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের শরণাপন্ন হলেন নবনির্বাচিত সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।
আজ গন্ধেশ্বরী নদীতটে দাঁড়িয়ে সুভাষবাবু জানান, নবনির্বাচিত সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী গন্ধেশ্বরী নদী বাঁধ প্রকল্প বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও কাগজপত্রের জন্য ফোন করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে রাজ্য সরকার তার সাথে কোনও সহযোগিতা করেনি। তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জল মিশন বিভাগের কাছ থেকে এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহ করে অরূপবাবুকে পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে বিজেপি সর্বদাই সচেষ্ট। এরজন্য বিরোধী দলের সাংসদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। এই সৌজন্যতা বিজেপির কালচার। একই সাথে তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে, তাই আগামী ২০২৬ সালেও তা রূপায়িত হবে না। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিগত পাঁচ বছর বাঁকুড়ার সাংসদ থাকা সত্বেও সুভাষবাবু এই প্রকল্প নিয়ে মাথা ঘামাননি, তার সদিচ্ছা থাকলে সংসদে এবিষয়ে কথা বলতেন। তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি বলেই এই কাজ আমাকে করতে হচ্ছে।এই বাঁধ প্রকল্প রূপায়িত হলে বাঁকুড়া জেলার অর্থনৈতিক অবস্হার উন্নতি হবে। নদী তীরবর্তী বিস্তির্ণ এলাকায় বৃষ্টি নির্ভরতা কাটিয়ে চাষাবাদ সম্ভব হবে। শুশুনিয়া পাহাড় এলাকা থেকে উৎপন্ন গন্ধেশ্বরী নদী প্রবাহে শুশনিবাসা, গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর নদীর সঙ্গমস্থল দোমাহানি ঘাটে ও ওন্দায় মোট তিনটি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রকল্পে।
অরূপবাবু বলেন এ বিষয়ে জেলা শাসকের সাথে আলোচনা হয়েছে। ওন্দায় প্রস্তাবিত বাঁধ নির্মিত হলে বেশ কিছু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যাবে। সেজন্য বাঁধ ছোট করে নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ জল মিশনের অধীনে, কাজেই এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।