পুরুলিয়ার নীলকন্ঠ নিবাসে নেতাজির স্মৃতি চারণ

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৩ জানুয়ারি : পুরুলিয়ার নীলকন্ঠ নিবাসে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী। ১৯৩৯ সালে ততকালীন মানভূম জেলার বিখ্যাত আইনজীবী নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে একদিন ছিলেন তিনি। আজ সাধারন মানুষের জন্য নেতাজি যে ঘরে ছিলেন সেই ঘর খুলে দেওয়া হয়। তাঁরা নেতাজির ব্যবহৃত জিনিসপত্রও দেখেন।

এখানে থাকা নেতাজীর মুর্তিতে মাল্যদান করেন বিশিষ্ট জনেরা ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ। পাশাপশি নাটক, দেশাত্ববোধক নাচ গান ও আবৃতি পাঠ করে কচিকাঁচা থেকে বিশিষ্টজনরা। জেলার অনান্য জায়গাতেও শ্রদ্ধার সংগে পালিত হয় নেতাজী জন্মদিবস। তবে পুরুলিয়ার শহরের নীলকন্ঠ নিবাসে যে বাড়িতে নেতাজি রাত কাটিয়েছিলেন সেই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি তোলেন নীলকন্ঠবাবুর উত্তরসূরীরা।

প্রসঙ্গত, পরাধীন ভারতে নেতাজি মোট চারবার পুরুলিয়া জেলায় এসেছিলেন। তার সংগে এই জেলার ছিল নিবিড় সম্পর্ক। একদিন তিনি পুরুলিয়ায় রাত কাটান। পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ার বাসিন্দা প্রখ্যাত আইনজীবী ও পুরুলিয়া পুরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের সেসময় বিশাল নামডাক ছিল। পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায় যে বাড়িতে তিনি থাকতেন, সেই বাড়িটির নাম ‘নীলকণ্ঠ নিবাস’। পুরুলিয়ায় এসে প্রথম তাঁর বাড়িতেই উঠেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নীলকন্ঠ চট্টোপাধ্যায়ের বংশধর রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৯৩৯ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরুলিয়ায় এসেছিলেন তিনি। সেসময় তাঁর গায়ে ১০২ ডিগ্রি জ্বর। আশ্রয় নিয়েছিলেন নীলকণ্ঠ নিবাসে। গোটা একটা দিন ‘নীলকণ্ঠ নিবাস’-এ কাটিয়েছিলেন নেতাজি। স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে পর রাতে খাওয়া-দাওয়াও করেন তিনি। পরের দিন সকালে রওনা হয়ে যান রামচন্দ্রপুর হয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ।

ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। কিন্তু ‘নীলকণ্ঠ নিবাসে নেতাজির স্মৃতি আজও জ্বলজ্বল করছে। প্রতি বছর নীলকন্ঠ নিবাসে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে নেতাজির জন্মদিবস। আজও ১২৫ তম জন্মদিবস উপলক্ষে বিশেষ ভাবে দিনটি পালিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *