আমাদের ভারত, ২৩ জানুয়ারি: দেশনায়কে ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্ডিয়া গেটে বসতে চলেছে গ্রানাইটের নেতাজীর পূর্ণাবয়ব মূর্তি। তবে যতদিন না আসল মূর্তিটি তৈরি হচ্ছে ততদিন সেখানে থাকবে একই রকমের একটি হলোগ্রাম মূর্তি। কথামতো রবিবার নেতাজীর জন্মদিনে সেই হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সন্ধ্যা ৬:৪০ মিনিট নাগাদ নেতাজীর মূর্তি উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। মূর্তি উন্মোচনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের বীর সন্তান নেতাজীকে কোটি কোটি প্রণাম। এটি ঐতিহাসিক দিন। স্বাধীন ভারতের বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন নেতাজী। এই মূর্তি গোটা দেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি। নেতাজী সেই ব্যক্তি যিনি ব্রিটিশদের বলেছিলেন, ভিক্ষা নেব না স্বাধীনতা অর্জন করব। এটা দুর্ভাগ্যের যে স্বাধীনতার পর বহু মহান দেশনায়েকের বলিদানকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এই মূর্তি স্বাধীনতার নায়কের প্রতি দেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
কলকাতায় নেতাজীর বাসভবনে আসার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন মোদী বলেন, “স্বাধীন ভারতের স্বপ্নপূরণ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। পৃথিবীর কোনো শক্তি সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য আটকাতে পারবে না। আমাদের আরো অনেক পথ পেরোতে হবে।”
নেতাজীর মূর্তি উদ্বোধনের আগেই টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, আজ সন্ধ্যে ছটায় ইন্ডিয়া গেটে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচন করার জন্য সকলের অসীম উদ্দীপনা দেখে আমি গর্বিত। এই অনুষ্ঠান থেকে সুভাষচন্দ্র বসু আপদা প্রবন্ধন পুরষ্কার বিতরণ করা হবে।
সেই মতো রবিবার ২০১৯, ২০২০, ২০২১,২০২২ সালের সুভাষ চন্দ্র বসু আপদা প্রবন্ধন পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সুভাষচন্দ্র বসু আপদা প্রবন্ধন পুরস্কারের খাতে নির্বাচিত সংস্থা প্রতি ৫১ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য এবং ব্যক্তি প্রতি ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য তিরিশ হাজার লুমেন ফোরকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে অদৃশ্য হাইগেন সম্পন্ন ৯০% স্বচ্ছ হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে তৈরি করা হয়েছে নেতাজীর থ্রিডি অবয়বটি। আজ সেটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নেতাজীর মূর্তি তৈরির দায়িত্ব প্রাপ্ত শিল্পী ন্যাশনাল মর্ডান আর্ট গ্যালারি ডিরেক্টর অদ্বৈত গদানায়ক বলেন, নেতাজীর দৃঢ়তার পরিচয় দিতেই শুধু কঠিন গ্রানাইট বেছে নেওয়া হয়নি, এর রং কালো, যা মহাকালী এবং কৃষ্ণের রং। ফলে নেতাজীর মূর্তি তৈরি করতে গ্রানাইটের থেকে ভালো উপাদান আর কিছুই হতে পারতো না।