আমাদের ভারত, ৯ জুন: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। ২০১৪ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ সামলাচ্ছেন তিনি। এর আগে আমাদের দেশে টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একমাত্র জহরলাল নেহরু। আজ সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ইতিহাস গড়লেন নরেন্দ্র মোদীও।
২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। এরপর বারানসি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। সেই বারেই তিনি বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর মুখ ছিলেন। ফলে এনডিএ সরকার গঠনের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন। ২০১৯ সালেও তিনি জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। তবে ২০২৪ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ২৪০টি আসন পেয়েছে তারা। ফলে এনডিএর শরিক দল, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি এবং বিহারে জেডিইউর সমর্থনে সরকার গড়েছে বিজেপি। ২০১৪ সালে বিজেপির ঝুলিতে ছিল ২৮২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪টি আসন। দ্বিতীয়বার ২০১৯ সালের সেই ঝড় অব্যাহত ছিল দেশে। বিজেপি ৩০৩ আসনে জয়ী হয়েছিল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল তারা। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে এবার রয়েছে ৯৯টি আসন।
১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের মহেসনা জেলার বড়নগরে গুজরাটি হিন্দু মোদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। পিতা মাতার ৬ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। পিতার নাম দামোদশ মূলচাঁদ মোদী, মায়ের নাম হিরাবেন মোদী। একাত্তরে বাংলাদেশ- পাকিস্তানের যুদ্ধ শেষ হবার পর মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে আরএসএস’এ যোগ দেন। নাগপুরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার সময় আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সময়েও আরএসএস-এর হয়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন মোদী। এরপর ১৮৮৫ তে যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। ১৯৮৮ সালে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এ পদে তাঁর ভূমিকায় ভারতীয় জনতা পার্টি ১৯৯৫ সালে অনুষ্ঠিত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জেতে। সেই থেকে তাঁর বিজয় রথ এখনো থামেনি।