আমাদের ভারত, ১০ মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র বাসব জয়ন্তী উপলক্ষে জগৎগুরু বাসবেশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জগৎগুরু বাসবেশ্বর সম্পর্কে তাঁর ভাবনা সম্বলিত একটি ভিডিও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন; “বাসব জয়ন্তীর বিশেষ উপলক্ষ্যে আমি জগদ্গুরু বাসবেশ্বরকে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর আদর্শ আলোকিত করে লাখো প্রাণ। আমরা তাঁর একটি ন্যায় ও সমৃদ্ধ সমাজের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, ২০১৫-র ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লন্ডনের ল্যামবেথ-এ বাসবেশ্বরের মর্মরমূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন।
অন্যদিকে ভগবান পরশুরামের জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অমিত শাহ।শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, “ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার ভগবান পরশুরামের জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা।”
তিনি লিখেছেন, “অস্ত্র ও শাস্ত্রের একজন মহান বিশেষজ্ঞ ভগবান পরশুরাম তাঁর তপস্যা ও সাহসিকতার মাধ্যমে মানবজাতিকে উপকৃত করেছিলেন। আমি সমস্ত দেশবাসীর সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য ভগবান পরশুরাম জির কাছে প্রার্থনা করি।”
প্রসঙ্গত, পরশুরাম বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। নামের আক্ষরিক অর্থ কুঠার হস্তে রাম। তিনি ত্রেতা যুগে এবং দ্বাপর যুগে বর্তমান ছিলেন। পরশুরামের বাবা জমদগ্নি ব্রাহ্মণ হলেও, মা রেণুকা ছিলেন ক্ষত্রিয়। কঠোর তপস্যা করে তিনি শিবের থেকে ‘পরশু’ লাভ করেন এবং যুদ্ধবিদ্যা শেখেন। কথিত আছে, তিনি সমুদ্রের আগ্রাসন থেকে কোঙ্কণ ও মালাবার অঞ্চলকে রক্ষা করেছিলেন। এই কারণে কেরল ও কোঙ্কণ উপকূলীয় অঞ্চলকে পরশুরাম ক্ষেত্র বলা হয়।
পরশুরাম ছিলেন ব্রহ্মক্ষত্রিয়। তিনিই ছিলেন প্রথম যোদ্ধা ঋষি। তাঁর মা অযোধ্যার সূর্যবংশের সন্তান ছিলেন। উল্লেখ্য, এই বংশেই রামচন্দ্রের জন্ম হয়। পরশুরাম ছিলেন শিবের উপাসক।