পাকিস্তানে নানকানা সাহিবে উন্মত্ত জনতার পাথর ছুঁড়ে হামলা, ভিতরে আটকে শিখ পুন্যার্থীরা

আমাদের ভারত,৪ জানুয়ারি:পাকিস্তানের নানকানা সাহিব গুরুদ্বার লক্ষ্য করে উন্মত্ত জনতার ইট বৃষ্টি। চলল শিখ বিরোধী স্লোগান। শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা এমনই এক ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন গুরুদ্বারের ভেতরে থাকা ভারতের শিখ তীর্থযাত্রী সহ পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের একাংশের মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয় এই ভিডিও। ঘটনা সম্পর্কে জেনেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে গুরুদ্বারে আটকে পড়া শিখ পুন্যার্থীদের নিরাপত্তার আর্জি জানান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। পরে এই হামলার তীব্র নিন্দা করে দিল্লি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। কয়েকজন হামলাকারি আটক হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ পাকিস্তানি গুরুদ্ধার ঘিরে ফেলে একদল মুসলিম। এরপর শুরু হয় ইট বৃষ্টি। গুরুদ্বারে ভেতরে ছিল তখন কয়েকশো তীর্থযাত্রী। বাইরে চলতে থাকে শিখ বিরোধী স্লোগান।

জানা গেছে গত বছর আগষ্ট মাসে গুরুদ্বারে এক আধিকারিকের মেয়েকে অপহরণ করে এক স্থানীয় যুবক। পরে তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে ওই যুবক। ওই যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করে। এদিন সেই যুবকের পরিবারের নেতৃত্বে হামলা হয় গুরুদ্বারে। হুমকি দেওয়া হয় এলাকা থেকে সমস্ত শিখকে বের করে দেওয়া হবে। ভিড় থেকে দাবি ওঠে নানকানা সাহিব এর নাম পাল্টে গুলামান-এ-মুস্তাফা করে দেওয়া হোক। অথচ এই নানকানা সাহিব গুরু নানকের জন্মস্থান।

হামলার ঘটনা জানতে পেরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান। তিনি লেখেন, তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। ঐতিহাসিক তীর্থস্থান গুন্ডাদের হাত থেকে রক্ষা করুন। এদিকে ভারত সরকারও বিবৃতিতে জানায় ধ্বংসাত্মক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে ভারত। একইসঙ্গে শিখ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করুক পাক সরকার বলেও দাবি জানানো হয়।

ঘটনার সাফাই গাইতে পাল্টা টুইট করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে পোস্ট করেন একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায় পুলিশ মুসলিমদের মারধর করছে। ইমরান লেখেন ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। কিন্তু পরে জানা যায় ২০১৩ সালের বাংলাদেশের একটি ঘটনার ভিডিও সেটি। সমালোচনার মুখে পড়ে তড়িঘড়ি ভিডিওটি ডিলিট করেন ইমরান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *