Muslim professor, Madhya Pradesh, ছাত্রীদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, হিন্দু পড়ুয়াদের কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশে বরখাস্ত মুসলিম অধ্যাপক

আমাদের ভারত, ২৪ জুন: দেশজুড়ে নিট ও নেট কান্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে। একের পর এক কেন্দ্রীয় পরীক্ষা বাতিল হবার কারণে সরব পড়ুয়ারা। বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদের কারণে পরীক্ষায় পড়ুয়ারা নম্বর কম পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। মধ্যপ্রদেশের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার এক মুসলিম অধ্যাপক হিন্দু পড়ুয়াদের ইচ্ছাকৃত কম নম্বর দিয়েছেন।

উজ্জয়িনীর একটি ইউনিভার্সিটিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি সেখানকার হিন্দু পড়ুয়ারা নম্বর দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুসলিম অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, ইচ্ছে করে হিন্দু পড়ুয়াদের কম নম্বর দিয়েছেন ওই মুসলিম অধ্যাপক আনিস শেখ। কেবল তাই নয়, অধ্যাপক ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ। যেসব পড়ুয়ারা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে রীতিমতো ভালো নম্বর পেয়েছেন তারাও পরীক্ষায় বেশ কম নম্বর পেয়েছেন। তাই এক্ষেত্রে অধ্যাপকের চক্রান্তকেই দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, ঐ অধ্যাপক মুসলিম পড়ুয়াদের বেশি নম্বর দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর দাবি, মুসলিম অধ্যাপক হিন্দু ছাত্রীদের ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করতেন। সরাসরি না বললেও হিন্দু ছাত্রীরা যেন মুসলিম ছাত্রদের সঙ্গে বেশি করে মেলামেশা করে তাই চাইতেন। এমনকি মুসলিম অধ্যাপক ওই সব বিষয় নিয়ে নানা কথা বলতেন বলেও দাবি ওই ছাত্রীর।

নানা ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ছাড়াও মুসলিম পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসের মধ্যে ল্যাবে ধর্মীয় আচার পালনে মদত দিতেন মুসলিম অধ্যাপক। হিন্দুরা বাধা দিতে গেলে নম্বর কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ শুধু কয়েকজন পড়ুয়ার নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ হিন্দু পড়ুয়ারই।

এদিকে নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুসলিম অধ্যাপক। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত কেমিস্ট্রির অধ্যাপক তিনি। তবে পার্মানেন্ট চাকরি নয়, গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন তিনি। সেই সূত্র ধরে তাঁর দাবি, পড়ুয়ারা তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা একেবারেই ঠিক নয়, কারণ ওই নম্বর তিনি দেননি। নম্বর দিয়েছেন বাইরে থেকে পরীক্ষা নিতে আসা অন্য অধ্যাপক। এতে তার কোনো হাত নেই। তার দাবি, পড়ুয়ারা অনিয়মিত বলেই তারা নম্বর কম পেয়েছে।

কিন্তু নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ বাদ দিলেও একাধিক নালিশ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেসব প্রথমে মৌখিকভাবে, ও পরে লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছে পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি সদস্যরা এই ঘটনায় সরব হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগের পর ওই মুসলিম অধ্যাপককে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ সঠিক কিনা তার বিচার করবে কমিটি। অভিযোগ প্রমাণ হলে মুসলিম অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *