সুশান্ত ঘোষ, গাইঘাটা, ২২ জুন: রাত পেরতেই একই ছবি ধরা পড়ল গাইঘাতায়। বনগাঁর পর ছেলে ধরা আতঙ্ক এবার গাইঘাটাতেও। আর তারই শিকার হলেন এক অনাথ আশ্রমের কর্মী আসলাম মন্ডল নামে এক যুবক। প্রচন্ড আঘাতে অসুস্থ অবস্থায় তাকে বনগাঁ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই বারাসত, অশোকনগর ও বনগাঁর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার বেড়ি গোপালপুর এলাকার ছেলেধরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাচক্রে গত কয়েকদিনে একাধিক স্কুল পড়ুয়া হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, তারা প্রত্যেকেই আবার নিজে থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে। শনিবার সন্ধ্যায় বনগাঁর ঠাকুরপল্লী এলাকায় এক অপরিচিত ভবঘুরেকে ইতস্তত ঘুরতে দেখা যায়। আর তাতেই তাকে ছেলেধরা হিসেবে সন্দেহ করেন এলাকার মানুষ। তারপরেই মুখে মুখে ছড়িয়ে যায় ছেলেধরার গুজব। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে জড়ো হয়ে যান এলাকার বহু মানুষ। আর তারপরেই ওই ভবঘুরেকে আটক করে ছেলেধরা সন্দেহে পিটুনি শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক অনাথ শিশুদের জন্য বেড়িগোপালপুর এলাকায় চাল সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। অভিযোগ এলাকার লোকজন সন্দেহ করে তাঁকে আটোক করে। স্থানীয়রা তাকে প্রশ্ন করতে কথায় অসঙ্গতি পেয়ে সুটিয়া ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছয় ফাঁড়ির পুলিশ। এরপরেই স্থানীয় উত্তেজিত জনতা তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গাইঘাটা থানার সুটিয়া ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে আহত যুবকের নাম আসলাম মন্ডল। বাদুড়িয়া থানায় এলাকার বাসিন্দা। ওই যুবক অনাথ বাচ্চাদের জন্য সাহায্য চাইতে এলাকায় গিয়েছিল।