আমাদের ভারত,২ ফেব্রুয়ারি:আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই ব্যস্ত ছিল উত্তরপ্রদেশের বারাবাকি জেলার জাহাঙ্গীরাবাদ থানা। কিন্তু হঠাৎ শুনতে পাওয়া যায় বাইরে চেঁচামেচি। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু বেরিয়ে এসে যা দেখলেন তাতে শিউরে উঠলেন অফিসাররাও। তারা দেখেন এক মহিলার কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে দোলাচ্ছেন এক যুবক।তাড়াতাড়ি ওই মুন্ডুটি পুলিশকর্মীরা তার হাত থেকে নিতে গেলে তখনই গলা ছেড়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করে। যুবক। সেই সঙ্গে দিতে থাকে ভারতমাতার জয় ধ্বনি।
এই বীভৎস ঘটনার কারণ কি? পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করেছে জাহাঙ্গীরাবাদ থানার অন্তর্গত বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা অখিলেশ রাওয়াত নামে ওই যুবক। পড়ে কুপিয়ে কেটেছে স্ত্রীর মুন্ডু। এরপর চুলের মুঠি হাতে ধরে পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে সে থানায় আসে।
ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। স্থানীয় মানুষ সূত্রে খবর, ওই যুবক তার স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। এমনকি সেই অশান্তি মারামারিতেও পৌঁছাতো। হয় শনিবার সকালেও শুরু হয় ঝগড়া আর তখনই রাগের বশে স্ত্রীকে খুন করে বসে ওই যুবক। তারপর প্রতিবেশীদের সামনে দিয়ে স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানাতে গিয়ে পৌঁছায় সে।
পুলিশ সুপার বলে,ন থানায় ওই অবস্থায় যুবককে দেখে পুলিশ কর্মীরাও চমকে যান। যুবকের হাত থেকে মুণ্ডটি নেওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে। তখনই সে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে আরম্ভ করে। স্লোগান দিতে শুরু করে ভারত মাতা কি জয়। বেশ কিছুক্ষণ পর তার হাত থেকে কাটা মুন্ডু কোনো রকমে ছিনিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের জেরায় অখিলেশ স্বীকার করেছে পারিবারিক ঝগড়ার কারণে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। তবে ঘটনার পেছনে আর কোনো বড় উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।