আমাদের ভারত,২৮ নভেম্বর: বছর খানেক আগে একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ন্যান্সি এবং সাহিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই দুজনের মধ্যে চরম অশান্তি শুরু হয়। শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি। অবিশ্বাসের পাহাড় গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। একে অপরের প্রতি বিতশ্রদ্ধ, বিরক্ত হয়ে ওঠেন। আর এই বিরক্তিকর সম্পর্কের চুড়ান্ত পরিণতি হলো আরও সাংঘাতিক। লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়ার নাম করে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে গুলি করে খুন করল স্বামী সাহিল। ঘটনা দিল্লির জনকপুরে।
প্রায় দিনই ন্যান্সি লেট নাইট পার্টি করত। তাতে আপত্তি ছিল সাহিলের। ন্যান্সির পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল সাহিলের। আর এই অবিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই অশান্তি বাড়তে থাকে তাদের মধ্যে। রোজকার ঝগড়াঝাটি থেকে মুক্তি পেতে স্ত্রীকে খুন করার ষড়যন্ত্র করে সাহিল।
১০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল ন্যান্সি। লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়ার নাম করে পানিপথের কাছে ন্যান্সিকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে আসে সাহীল। এই খুনের ঘটনায় তার সঙ্গে ছিল ড্রাইভার ও এক খুড়তুতো ভাই। জানা গেছে ৯ নভেম্বর ন্যান্সি ও সাহিল এর মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয়। রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে যায় ন্যান্সি। পরেরদিন সন্ধ্যেবেলায় সাহিল গিয়ে পৌঁছায় ন্যান্সির বাপের বাড়িতে। ক্ষমা চাওয়ার নাটক করে ফিরে আসতে বলেন সে ন্যান্সিকে। তার কথাই ভুলে যান ন্যান্সি। এরপরই তাকে লংড্রাইভে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় সাহিল। রাজি হয়ে যায় ন্যান্সি।
তারপরই পানিপথের কাছাকাছি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করে সাহিল। এরপর চুপচাপ বাড়ি ফিরে আসে সাহিল।সেই দিন থেকেই ন্যান্সির বাড়ির লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পুলিশের দ্বারস্থ হয় ন্যান্সির বাড়ির লোক। সাহিলের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে মেয়ের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ করে তারা সাহিলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সাহিলের পরিবার দাবি করে তাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে টাকার কোন অভাব নেই। দাম্পত্যে প্রতিনিয়ত অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই সোহেল হয়তো এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রথমে পুলিশকে সহযোগিতা করেনি সাহিল। কিন্তু জেরা করতে শুরু করতেই পুলিশকে অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকে সাহিল। ন্যান্সির ফোনের সূত্র ধরে জেরা করা শুরু করলে শেষমেষ ভেঙে পড়ে সাহিল। স্বীকার করে সে খুন করেছে তার স্ত্রীকে।