আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৫ ফেব্রুয়ারি: হাউজ ফর অল নিয়ে শাসক দল তৃনমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে মাঠে নামলেন বালুরঘাটের সাংসদ। মঙ্গলবার শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বেবি বর্মনের এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি মানুষের সাথে কথা বলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একই সাথে ঘর বিলিতে একাধিক দূর্নীতির অভিযোগ ওঠা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বঞ্চিত মানুষের খোঁজ খবর নেন সাংসদ। প্রকৃত গরীব মানুষদের দূরে সরিয়ে তৃণমূল নেতানেত্রীদের নামে কিভাবে বরাদ্দ হয় সরকারি প্রকল্পের ঘর তা নিয়ে সরব হন সাংসদ। তুলে ধরেন দোতলায় থাকা তৃণমূল নেতৃত্বদের ঘর পাবার বিষয় ও আবাস যোজনার ঘর নিয়ে তাতে বিদেশী কুকুর পোষার কথাও। সাতসকালে নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে এলাকায় পৌছাতেই আনন্দে আপ্লুত হয়ে বাসিন্দারা সাংসদকে জানান তাঁদের অসুবিধার কথা। ক্ষোভ উগড়ে দেন হাউজ ফর অলের বন্টন প্রক্রিয়া ও তোলাবাজি নিয়ে। আর যার পরেই এই ঘটনা নিয়ে বাসিন্দাদের পূর্নাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সাংসদের অভিযোগ, বালুরঘাট পৌরসভার ক্ষমতায় থাকাকালীন তৃণমূলের নেতৃত্ব সরকারি ঘর বিলিতে চরম দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করেছেন। বর্তমানে প্রশাসক বোর্ড পুরসভা সামলালেও তাঁর কোন পরিবর্তন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসক, মহকুমা শাসক সহ প্রধানমন্ত্রী এবং আরবান ডেভলপমেন্ট মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বেবী বর্মন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান উমা চৌধুরী, প্রাক্তন বুথ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মহন্ত, তৃণমূলের মহিলা নেত্রী চন্দনা সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা সরকারি প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন। এছাড়াও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছু ব্যক্তিকে স্বজন পোষণ ও দূর্নীতির মাধ্যমে ঘর পাইয়ে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত বিদায়ী পুরবোর্ড। শুধু তাই নয় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও মিলেছে নেতাদের ঘর। এমন সব অভিযোগে তদন্ত চেয়ে বালুরঘাট মহকুমা শাসককে লিখিত অভিযোগ করেছে টাউন মন্ডল বিজেপি। এবারে সেইসব ঘটনা নিয়ে মাঠে নামলেন বালুরঘাটের সাংসদ। ওই দুটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন সাংসদ। দরিদ্র হওয়া সত্বেও তাঁরা কেন ঘর পাননি তা জানতে চান সাংসদ।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তৃণমূলের নেতানেত্রীরা নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের নামে ঘর নিয়েছেন। কেউ আবার সরকারি প্রকল্পের ঘর বানিয়ে বিদেশী কুকুর পুষছেন। এমন সব দুর্নীতি সকলের সামনে তুলে ধরবেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসক, মহকুমা শাসক সহ প্রধানমন্ত্রী এবং আরবান ডেভলপমেন্ট মন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাবেন ঘটনার তদন্তের দাবিতে।