সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: ধার শোধ করতে প্রয়োজন ছিল ৬০ হাজার টাকা। সম্ভবত সেই টাকা শোধ করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন মা সুস্মিতা দাশগুপ্ত ও ছেলে অয়ন দাশগুপ্ত। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চসায়র থানা এলাকায় নবদিগন্তে উত্তরণ অ্যাপার্টমেন্টে। বু়ধবার দুপুরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরিবারের দাবি, পাওনাদারের চাপে পড়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। প্রৌঢ়া মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছেলের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রৌঢ়ার স্বামী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তাঁর মৃত্যুর পর, পেনশনের টাকাতেই চলত মা ও ছেলের সংসার। পরিবারের দাবি, মাস চারেক আগে প্রদীপ দাস নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেন প্রৌঢ়া। সূত্রের দাবি, আসলের উপর সুদ দিতে হত ১২ শতাংশ।
অভিযোগ, ২ মাসের মধ্যে ওই টাকা শোধ করতে না পারায়, মা ও ছেলেকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি ঘর থেকে আসবাবও তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরপর অপমান সহ্য করতে না পেরেই, মঙ্গলবার রাতে ঘুমের ওষুধ খান মা ও ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা দরজা খুলতে না দেখে পুলিশে খবর দেন। বুধবার দুজনকেই এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে থানায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।