তৃণমূল শিক্ষক নেতার লেখা সাত লাইনের চিঠিতে ৭টি বানান ভুল, আলোড়ন দক্ষিণ দিনাজপুরে, “যোগ্য নেতৃত্বর অভাব”, কটাক্ষ এক দল নেতার

পিন্টু কুন্ডু, আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৩ ফেব্রুয়ারি: সাত লাইনের লেখা চিঠিতে সাতটি বানান ভুল তৃণমূল শিক্ষক নেতার। যোগ্য লোককে যোগ্য পদ না দিলে এমনই হয়, কটাক্ষ খোদ দলেরই এক শিক্ষক নেতার। শুধু বানান ভুলই নয়, পুরো চিঠির বাক্য গঠনেও ইংরাজির মা-মাসী এক হয়েছে বলে অভিমত এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের। বুধবার জেলা তৃণমূলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদার ওই চিঠিতে রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষক নেতার এমন চিঠি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন খোদ জেলা নেতারাও।

দলীয় সুত্রের খবর, চলতি মাসের ১৪ তারিখে ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্মেলন রয়েছে গঙ্গারামপুরে। সেই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সার্কেলে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওই শিক্ষক সংগঠনের। যদিও তপন পূর্ব চক্রে বাদ রয়েছে সেই কর্মসূচি। কেননা ওই সার্কেলে পদের যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তার হাত ধরে সঠিক সময়ে সন্মেলন হয়নি বলে অভিযোগ। আর যে কারণেই মৌনব্রত দে নামে অপর এক জনকে কনভেনরের দায়িত্ব দেওয়া হয় নেতৃত্বদের তরফে। যার উদ্দেশ্যেই গতকাল সংগঠনের প্যাডে একটি চিঠি দিয়েছেন জেলা সভাপতি শুকলাল হাঁসদা। ইংরেজিতে লেখা সাত লাইনের সেই চিঠিতে সাতটি বানান ভুলের ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন সেই চিঠি সামনে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে। একজন প্রাথমিক শিক্ষক তথা শিক্ষক নেতার এমন ভুল বানান ভরা চিঠিকে ঘিরে উঠেছে জোর প্রশ্ন। তার কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরাই বা কি শিখবে আর সংগঠনের কর্মীরাই বা কতটা উপকৃত হবেন এদিনের ওই চিঠিকে ঘিরেই উঠেছে এমন একাধিক প্রশ্ন। ঘটনা জানবার পরে ওই শিক্ষক নেতার পাশে দাঁড়িয়ে খবরটি না করবার অনুরোধ জানিয়েছেন মৌনব্রত দে নামে এক শিক্ষকও।

কুমারগঞ্জের বাসিন্দা তথা পেশায় স্কুল শিক্ষক কমল কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই লজ্জা শুধুমাত্র শুকলাল বাবুর একার নয়, সমগ্র শিক্ষক সমাজের। শুধুমাত্র বানান ভুলই নয়, পুরো চিঠিটির বাক্য গঠনেও ইংরাজীর মা-মাসী এক হয়েছে। প্রাথমিকের ছাত্র ছাত্রীরাও এসব ভুল করতো কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

যদিও ওই শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদা জানিয়েছেন, চিঠিটা তাঁর লেখা নয়। তাড়াতাড়ি করার জন্য তাঁর প্যাডে অন্য একজন শিক্ষককে দিয়ে লেখানো হয়েছিল।

সংগঠনের জেলা নেতা রাজনারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, চিঠিটা তিনি দেখেননি এখনও। তবে যোগ্য লোককে যোগ্য জায়গায় না বসালে এমন ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক বলেই তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *