ভারত, ২৮ ফেব্রুয়ারি: দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ভুয়ো ভোটারের ইস্যুতে সরব হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটার তালিকায় ভুয়ো নামের ইস্যুতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ ব্যাগ বোঝাই করে ভুয়ো ভোটারের নামের তালিকা জমা দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ভোটার তালিকায় মোট ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩২টি ভুয়ো নাম রয়েছেন। নাম, আত্মীয়ের নাম ও বয়স মূলত এই তিনটি ফিল্ড সেখানে মিলে যাচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এমনকি এগারো হাজারেরও বেশি ডুবলিকেট নামের ক্ষেত্রে এপিকও মিলে যাচ্ছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।
ভুয়ো ভোটারের ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ করেছে বিজেপি। এবার সেই ভুয়ো ভোটারের তথ্য নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দুই হাতে দুটি ব্যাগ নিয়ে যাতে লেখা ভুয়া ভোটার। এভাবেই সিইও অফিসে ঢোকেন তিনি। জানালেন সব তথ্য তিনি জমা দিয়েছেন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে ডুব্লিকেট ভোটারদের নামের তালিকা শুভেন্দু অধিকারী জমা দিয়েছেন। ১৪ হাজার ২৬৭ পাতার ওই তালিকার সঙ্গে একটি পেনড্রাইভ জমা করেছেন তিনি। যেখানে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।
শুভেন্দু অধিকারী জানান, এর আগেও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের সঙ্গে। গত ২ ফেব্রুয়ারি
একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকের পরে তারা আশ্বস্ত হয়েছিলেন তালিকা থেকে ভুয়ো নামের বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত ডুপ্লিকেট নামগুলি বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এই অবস্থায় ১৪২৬৭ পাতার তালিকা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে জমা দিয়েছেন তিনি। প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকার পরেও কেন এই ধরনের কারচুপি হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিডিওদের ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হচ্ছে। ভোটার তালিকা মনিটরিং করার পর দেখা গেছে ১৬ লক্ষেরও বেশি একই নাম একই বয়স ও একই বাবার নামে ভোটার আছে। তাঁর দাবি, তৃণমূল যাতে দুটি করে ভোট দিতে পারে তার জন্য এই ভুয়ো ভোটার। আমরা চুরিটাকে ধরেছি। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা এলাকায় ভোটার তালিকায় কোন কোন নাম ভুয়ো এই সংক্রান্ত প্রায় ১৫ হাজার পাতার তালিকা জমা দিয়েছি। শুভেন্দুবাবু জানান, তারা ৬ জন প্রতিনিধি চারটি করে মোট ২৪ ব্যাগ তথ্য জমা দিয়েছেন।
বিজেপি নেতার আরো অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভোটার তালিকায় নাম ডবল এন্ট্রি করানো হচ্ছে। তাঁর দাবি, অমিত রায়চৌধুরী নামক অ্যাডিশনাল সিইও আছেন, যিনি প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ গোপন কাগজপত্র সিইও অফিস থেকে পাচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- এর কাছে। আপার লেভেলের ক্লার্কদের এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার পরামর্শ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত কয়েক বছর যেসব অফিসারদের কাজে লাগাননি বা কম্পালসারি ওয়েটিং- এ রেখেছেন তাদের মধ্যে কাউকে বেছে নিয়ে অ্যাডিশনাল সিইও করা হোক।