পাকিস্তানের সিন্ধে বিক্ষোভ মিছিলে মোদীর পোস্টার, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি

আমাদের ভারত, ১৯ জানুয়ারি: নরেন্দ্র মোদীর পোস্টার নিয়ে হল বিক্ষোভ মিছিল দেখা গেল প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে। সেখানে সিন্ধকে পৃথক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার দাবিকারিরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার নিয়ে মিছিল করে। তাদের শীর্ষনেতা জিএম সৈয়দের জন্মবার্ষিকীতে রাস্তায় নেমে আলাদা রাষ্ট্রের দাবি করেন তারা। সৈয়দ ছিলেন পৃথক সিন্ধুদেশের প্রবক্তা।

তবে মোদী ছাড়াও প্রতিবাদীদের হাতে ছিল নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রো, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি ঊ অ্যান্টোনিও গুতেরেস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনশনের ছবি। তাদের হাতে পোস্টারে লেখা ছিল সিন্ধ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা চায়। সিন্ধ দেশের স্বাধীনতার জন্য আয়োজিত এই সমাবেশটি হয় সিন্ধের জামশোরা জেলার সান এলাকায়। এটি জিএম সৈয়দের জন্মস্থান।

রবিবার এই সমাবেশটি হয়। এটির উদ্যোক্তা ছিল জিএসএম মুত্তাহিদ মাহাজ। তারা এই বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের হস্তক্ষেপ চায়। তাদের দাবির সিন্ধ হলো সিন্ধু সভ্যতা, বৈদিক সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র। ব্রিটিশরা অবৈধভাবে তাকে দখল করে ও ১৯৪৭-এ পাকিস্তানের হাতে সিন্ধকে তুলে দেয়। আধুনিক সিন্ধি জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন সৈয়দ। ভিন্ন ভাবধারা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর বিশেষভাবে তাকে প্রভাবিত করেছিলেন। পাকিস্তান গঠনের পর তিনি হলেন প্রথম রাজনৈতিক বন্দী। প্রায় তিরিশ বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়ে ছিলেন তিনি।

দেশভাগের পর নবগঠিত পাকিস্থানে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সংঘটিত হয়। সেখানে সবচেয়ে বড় প্রদেশ বালুচিস্তানের সিন্ধের সিন্ধুদেশ আলাদা হওয়ার দাবি জানায়। ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়া লোকজনের জন্য আলাদা হোমল্যান্ডের দাবি ওঠে। ১৯৭১ এ পাকিস্তান ভেঙ্গে জন্ম হয় বাংলাদেশের। মুক্ত সিন্ধেরর দাবিতে একাধিক জাতীয়তাবাদী দল প্রতিবাদ আন্দোলন চালাচ্ছে বহুদিন ধরে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা তাদের দাবির জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ পাকিস্তান দখলদারি করে তাদের সম্পদ শোষণ করছে ও প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লংঘন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *