জে মাহাতো, আমাদের ভারত, হলদিয়া, ৭ ফেব্রুয়ারি: বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলায় আগামী দিনে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার হুঙ্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবারই প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া থেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন মোদী। আর সেখান থেকেই আগামী দিনে বাংলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টিকে শাসনে আনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমি আজ মা গঙ্গার পাশে দাঁড়িয়ে আছি। আমি বাংলার কৃষকদের বিশ্বাস দেওয়ার জন্য এসেছি যে এই বিধানসভা নির্বাচনের পর ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গড়বে। নির্বাচনে বিজেপি শাসনে আসার পর প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই কৃষকদের জন্য কিষাণ সম্মান নিধি চালু করা হবে। শুধু এখানেই নয়, সারা দেশের কৃষকরা যা সুবিধা পেয়েছেন আপনারা যা কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সেই সমস্ত পুরনো টাকা ও বাংলার কৃষকরা ভারত সরকারের থেকে পাবেন। বাংলায় মমতা দিদির সরকার গরিবদের চিন্তা থেকে কতটা দূরে তার এক উদাহরণ হল কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত যোজনা। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মানুষদের বিকাশের জন্য সম্পূর্ণভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
পাশাপাশি এদিন মোদী বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বলেন, “বাংলার বিকাশ দ্রুতগতিতে করার জন্য এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার দরকার। দুর্নীতি ও তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে এখানে আসল পরিবর্তন আসবে। পরিবর্তন কাকে বলে তা ত্রিপুরাতে অনুভব করা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতি এখনও চালু করছে না।” পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদী বাংলার উন্নয়ন থেকে থাকার কারণ হিসেবে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেমে থাকার মূল কারণ হল এখানকার রাজনীতি। প্রথমে কংগ্রেসের শাসন এসেছিল এবং তারপর বামেদের লম্বা সময়ের শাসনে ভ্রষ্টাচারের সাথে অত্যাচারকেও জুড়ে দিয়েছেন। যার ফলে বিকাশ স্তব্ধ হয়ে গেছে। ২০১১ সালে পুরো দেশের নজর ছিল বাংলার দিকে। বামেদের অত্যাচার ও ভ্রষ্টাচারের মুক্তির জন্য যখন বাংলা তাকিয়ে ছিল তখন মমতা দিদি বাংলায় পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। তখন মানুষ ভরসা করেছিলেন। বাংলার মানুষ উনার উপর ভরসা করতেই ওনার থেকে নির্মমতা পেয়েছেন। বাংলার মানুষ যা পেয়েছিল ওটা পরিবর্তন নয়, এটা বামেদের পুনরুজ্জীবন। এই সরকার আসার পর খুনখারাপি বেড়েই চলেছে। এর ফলে বাংলার মানুষ রোজগার কোথায় থেকে করবেন। বাংলায় এত বড় সাইক্লোনের সময় কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠিয়েছিল তা এই সমস্ত লোকেরা কি করেছিল তা পশ্চিমবাংলার মানুষ জানে।
করোনার সময় এমন কোনও জায়গা নেই যে প্রভাবিত হয়নি। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ পরিবারের জন্য মুক্ত রেশনের ব্যবস্থা করেছিল যাতে বাংলার কোনও পরিবারকে রাতে না খেয়ে থাকতে হয়। কিন্তু মানুষের জন্য পাঠানো রেশন এখানকার সরকার মানুষের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ। কেন্দ্রীয় সরকার করোনার সময় জনধন যোজনার অ্যাকাউন্টে সোজা টাকা পাঠিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এখানকার ৯০ লক্ষ মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস দিয়েছে। বন্ধুরা আমার মনে গভীর দুঃখ সঞ্চিত হয়ে আছে কারণ করোনার সময় কৃষকরা তাদের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।