আমাদের ভারত, ১৩ মে: ভারত- পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির কথা দু’দেশের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প কী করে ঘোষণা করলেন? তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে শুক্রবার পাকিস্তানের নুর খান এয়ার বেসকে ভারত টার্গেট করার পরেই আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স মোদীর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিকল্প ভেবে দেখতে বলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদী সব শুনলেও কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।
ভারত- পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি হয়েছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প কী করে তা ঘোষণা করলেন? তা নিয়ে এখন বিরাট বিতর্কের ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে আমেরিকা কী করে এটা করতে পারে? নিউইয়র্ক টাইমস- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার যে ঘটনা ঘটে তাতেই আমেরিকা মারাত্মক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। যদিও এই উদ্বিগ্ন হবার কারণ নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। কী ছিল ঘটনা? সেই রাতে ইসলামাবাদ লাগোয়া পাকিস্তানের নুর খান এয়ার বেসকে টার্গেট করে ভারত। আর তাতেই আমেরিকা উদ্বিগ্ন হয়েছিল। সংঘাতের আঁচ কমবে বলে মনে হচ্ছিল না। এরপরই ট্রাম প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন এবং বলেন, এই সংঘর্ষ নাটকীয় মোড় নিয়ে পুরোদস্তুর যুদ্ধ অবধি গড়াতে পারে না।
নিউ ইয়র্ক টাইমস- এর প্রতিবেদনের দাবি, জেডি ভান্স নরেন্দ্র মোদীকে স্ট্রাইক- এর বিকল্প ভেবে দেখতে বলেন। নরেন্দ্র মোদী সব শুনলেও কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।
অন্যদিকে আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও পাকিস্তানি সেনা প্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার অবধি লাগাতার কথোপকথনে শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে বিরতির ভিত তৈরি হয়।
কিন্তু সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারত সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিল, আর সে কথা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করবেন কেন? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিকে ভারত- পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির কথা ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ঘোষণা করেছেন তা নিয়ে সরব বিরোধী দলগুলিও। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এখনো সংঘর্ষ বিরতির কৃতিত্ব নিতে কার্যত মরিয়া। সোমবার তিনি বলেন, সংঘর্ষ বিরতির জন্য বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনের যদি সত্যতা থেকে থাকে তাহলে ট্রাম্পের এই দ্বিতীয় দাবি ভারতের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হয়েছিল তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।