আমাদের ভারত, ৭ এপ্রিল: লোকসভা ভোটের প্রচার এখন তুঙ্গে। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, তার ভবিষ্যৎবাণী করলেন জ্যোতিষ রুদ্রকরণ প্রতাপ।এর আগে রুদ্র করণের একাধিক ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গিয়েছে। তার মধ্যে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ, কেজরিওয়ালের জেল যাত্রার ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ টুইটারে মোদীর ভবিষ্যৎ শেয়ার করেছেন এই জ্যোতিষী। ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল হয়েছে। রুদ্রকরণের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ বেশ বড় বড় ক্ষেত্রে তাঁর ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গেছে।
কী বলেছেন জ্যোতিষ রুদ্র, মোদীর ভবিষ্যত নিয়ে? রুদ্রকরণ দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর মঙ্গল মহা দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, মোদীর নেতৃত্বে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করবে ভারত।
প্রসঙ্গত জ্যোতিষ রুদ্রের অনুগামী তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ তাবড় বিজেপি নেতারা। রুদ্রর অনুগামী সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার।
এক্স হ্যান্ডেলে জ্যোতিষ রুদ্র লিখেছেন, জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বর্তমানে মঙ্গল মহাদশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জমি সমস্যার সমাধান হতে পারে। মোদীর নেতৃত্বে ২০২৪ সালে ফের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দৃঢ়তার সঙ্গে রুদ্র লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০২৪ সালে আরও একটি মেয়াদ যে পেতে চলেছে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। রুদ্র জানিয়েছেন, ২০২৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ।
এর আগে ২০২২ সালের মার্চ মাসে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সম্পর্কে একটি টুইট করেছিলেন রুদ্রকরণ। সেই সময়ে রুদ্র দাবি করেছিলেন, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে অপ্রত্যাশিত ধাক্কার মুখোমুখি হতে হবে কেজরিওয়ালকে। আর ২০২৪- এর ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। স্বাভাবিকভাবে রুদ্রর ভবিষ্যৎ বাণী নিয়ে নতুন করে আন্দোলিত রাজনৈতিক মহল। কারণ এর আগে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ, ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ফল,২০২২ সালে পাঞ্জাব আইনসভা নির্বাচন, ২০২২ সালের বিশ্ব বন্যা, ইউরোপে অর্থনৈতিক পতনের প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই জ্যোতিষীর ভবিষ্যৎ বাণী মিলে গিয়েছিল।
তবে সব ভবিষ্যতবাণী যে হুবহু মিলেছে এমনটাও নয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি দাবি করেছিলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। এক্ষেত্রে তার ভবিষ্যৎবাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।