Modernization, Purulia station, পুরুলিয়া জেলাতেও রেলের আধুনিকীকরণ, ঝাড়গ্রাম- পুরুলিয়া নতুন রেল পথ বাস্তব রূপ পাচ্ছে

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি: সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা দেশের সঙ্গে পুরুলিয়া জেলাতেও রেলের বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করলেন। আদ্রা ডিভিশনের ওই প্রকল্পগুলিও তার মধ্যে রয়েছে। অমৃত ভারত প্রকল্পে ১৬টি স্টেশনের আধুনিকীকরণের হবে। পরে যোগ হয় ওন্দাগ্রাম স্টেশন। ২০২৫ মার্চের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনো হচ্ছে।

এদিন দক্ষিণ পূর্ব রেলের ৪৬টি স্টেশন ও ১০৮টি রোড ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাসের উদ্বোধন করেন মোদী। যার মধ্যে ২২টি স্টেশন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে। উন্নয়নের জন্য খরচ হবে ৫৯৭ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। স্টেশনগুলির মধ্যে রয়েছে আদ্রা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, খড়্গপুর, মেচেদা, উলুবেড়িয়া, আন্দুল, পাঁশকুড়া, দিঘা, হলদিয়া-সহ একাধিক স্টেশন। আদ্রা, বাঁকুড়া, বোকারো ও পুরুলিয়া স্টেশনে মোট ৯টি চলমান সিঁড়ি বসানো হচ্ছে। ২০টি লিফট বসছে আদ্রা, পুরুলিয়া, গড়বেতা, শালবনী, চান্ডিল, চন্দ্রকোনা রোড, বরাভূম, আনাড়া, জয়চণ্ডীতে। এর মধ্যে আদ্রায় চারটি লিফট বসানো শেষ। যে সব স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম, সেখানে লিফট বসানো হচ্ছে না। পাশাপাশি স্টেশনগুলির ‘সার্কুলেটিং এরিয়া’ বাড়ানো, সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্ল্যাটফর্মগুলি আরও আধুনিক ও ঝাঁ চকচকে করা হচ্ছে। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। শৌচাগারের মানোন্নয়ন হবে।

দূরপাল্লার ট্রেনগুলির কোন কামরা স্টেশনের কোন এলাকায় থামবে এই তথ্য ফুটে উঠতে কোচ ইন্ডিকেশন বোর্ডে (সিআইবি) বসবে। করোনা সংক্রমণের সময় তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি হতো। অমৃত ভারত প্রকল্পে সেই বোর্ড ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে ‘ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড’। অর্থাৎ কোন ট্রেন, কোন প্ল্যাটফর্মে আসছে, সেই তথ্য দেখা যাবে ওই বোর্ডে। এদিন এক দশক আগে সার্ভে হওয়া প্রায় ১২৫ কিলোমিটার ঝাড়গ্রাম- পুরুলিয়া নতুন রেল পথের চূড়ান্ত রিপোর্ট গড়ার কথা বলা হয়েছে রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে। প্রায় ৩০০ কোটি ১২ লক্ষ টাকা প্রাথমিক খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিন পুরুলিয়ায় একটি ফ্লাই ওভার ব্রিজের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরাসরি রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগ করে তোপ দাগেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। আদ্রা ডিভিশনের রেল আধিকারিকদের সামনেই তিনি বলেন, রেলের এই দ্রুত গতির উন্নয়নে বাধা হচ্ছে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা। ঠিক সময়ে রাজ্য সরকার এনওসি দিলে আজ এই উড়ালপুলের শিলান্যাস নয়, উদ্বোধন হতো। আর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের মন্ত্রীরাও এর সুবিধা পেতেন।

ঘটা করে সারা দেশে ভোটের আগে এই রকম অনুষ্ঠান করছে বিজেপি। সারা বছর মানুষের কাজে না থাকা বিজেপি সাংসদ ভোটের আগে এই বুলি বলে, কটাক্ষ পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *