আমাদের ভারত, ২৫ জুন: গোপনে আন্তঃ মহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে ইসলামাবাদ। সেই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান থেকে সাগর, পাহাড় ডিঙিয়ে আঘাত হানবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা নিজের রিপোর্টে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরেই চিনের সাহায্যে পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার বাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে ইসলামাবাদ। হোয়াইট হাউসের আধিকারিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি পাকিস্তান বাস্তবেই এমন শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ফেলে তবে ওয়াশিংটন এশিয়ার এই দেশটিকে পারমাণবিক প্রতিপক্ষ ঘোষণা করবে।
কোনো দেশের কাছে যদি পারমাণবিক অস্ত্র থাকে এবং সেই দেশটি যদি আমেরিকার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে তবে সেই দেশটিকে পারমাণবিক প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করে ওয়াশিংটন। বর্তমানে রাশিয়া, চিন, উত্তর কোরিয়া আমেরিকার জন্য এই তালিকায় রয়েছে।
পাকিস্তান বরাবর দাবি করে এসেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি মূলত ভারতকে জবাব দেওয়ার জন্য। সাধারণত স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতেই মনোনিবেশ করছে তারা। ২০২২ সালে ভূমি থেকে ভূমি মাঝারি পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে ইসলামাবাদ। যেগুলি সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। অর্থাৎ এই অস্ত্রে ভারতের শহরগুলিতে হামলা করা সম্ভব। সেখানে আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হতে পারে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অব্দি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতে আমেরিকা যাতে পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্র ভান্ডার ধ্বংসের কৌশলের দিকে না এগোয় তার জন্যই দূরপাল্লার আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ভাবনা পাকিস্তানের।
পাশাপাশি আমেরিকা যাতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘাতে কোনভাবেই ভারতের পক্ষ না নেয়, সেই বিষয়টিকেও নিশ্চিত করতে চাইছে ইসলামাবাদ।