আমাদের ভারত, ২৫ নভেম্বর: ঢাকা বিমানবন্দরে ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই ‘জাগো সনাতনী’ শ্লোগান তুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। এই প্রতিবাদ কেবল সামাজিক মাধ্যমেই আবদ্ধ না রেখে পথে নামার আহ্বান জানানো হয়েছে। জানাগেছে, ইতিমধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সে দেশের সংখ্যালঘুরা।
ছবি:(বাংলাদেশে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের হামলা)
‘বাংলাদেশ হিন্দু নির্যাতন’ ফেসবুক গ্রুপে দেবদত্ত বর্মা লিখেছেন, “আমাদের এখনি মাঠে নেমে যাওয়া উচিত, অনেক হয়েছে, আর নয়, আর কত সহিষ্ণুতা দেখাবেন, আর নয়, এখনি সবাই নেমে যান, তীব্র নিন্দা জানিয়ে কী করবেন, এর বিচার কে করবে? এই সব কিছুর বিচার এখন আমাদেরই করতে হবে, অতএব দয়া করে আপনারা আর ঘরে বসে থাকবেন না আপনাদের চরণে আমার অনুরোধ।”
একই সঙ্গে কেবল সমাজ মাধ্যমে নয় রাস্তায় নামার ডাক দিয়ে তিনি লিখেছেন, “মেসেজ লিখে আর কত প্রতিবাদ জানাবেন? ওগুলো বাদ দিন, এখন আমাদের মাঠে নামারা সময় এসেগেছে, আর কত ঘরে বসে নিন্দা প্রতিবাদ জানাবেন? অনেক জানিয়েছেন আর নয়, এখন আমাদের মাঠে নামার সময়।”
ছবি:(বাংলাদেশে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের হামলা)
পার্থ সারথী নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, “মোবাইলে প্রতিবাদ নয়, প্রতিবাদ রাস্তায় নেমে হোক। দেখা যাবে কথিত হিন্দুদের বন্ধু ইন্ডিয়া ও বিশ্ব ইসকন কী করে।” ইন্দ্রজিৎ সরকার লিখেছেন, “স্বসম্মানে প্রভুকে ছেড়ে না দিলে, প্রত্যেক সনাতনীকে রাস্তায় নামার জন্য আহ্বান জানাই।” পীযূষ কুমার সরকার লিখেছেন, “তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
শান্ত কুমার দাস লিখেছেন, “তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সঙ্গে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করার জন্য নিবেদন জানাচ্ছি।” পি এস মণি লিখেছেন, “হায় হায় ভগবান, এটা কেমন কথা, উনার গায়ে আঁচর লাগবে? পৃথিবীর সব হিন্দু এক হয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করবো বলে দিলাম।” সাগর সেনগুপ্ত লিখেছেন, “কালই মুক্তির আন্দোলনের ডাক চাই৷”
অমর সাহা লিখেছেন, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই”। অসিত সিং লিখেছেন, “ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হোক”। রামকৃষ্ণ সাহা লিখেছেন, “একজন সনাতনী হিসেবে তীব্র প্রতিবাদ জানাই”। শিমূল গোলদার লিখেছেন, “তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না, দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি চাই।”