পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: শুক্রবার গড়বেতা ও ঘাটালের বন্যা দুর্গতদের কাছে এসে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, সচিব ও বিধায়করা। একটানা বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর জল ফুলে ফেঁপে গড়বেতা ১ ও ২নং ব্লকের বহু গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোমর সমান জল, কোথাও তার থেকে বেশি। জেলা প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েকশো মানুষকে জলবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে কয়েকটি ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসে। রাতে তাদের রান্না করা খাবার দেওয়া হয়।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ গড়বেতার আগরবাঁধ এলাকায় ত্রাণ শিবিরে আসেন মন্ত্রী ও সচিবরা। তাঁরা দুর্গতদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করেন। দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। ছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, জলসম্পদ- জনস্বাস্থ্য- সেচ ও ভূমি সংস্কার বিভাগের সচিব, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভারানী মাইতি, বিধায়ক সুজয় হাজরা, উত্তরা সিংহ হাজরা, জেলা শাসক খুরশেদ আলি কাদেরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
টানা বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মন্ত্রী, বিধায়ক, সচিবরা গড়বেতা, ঘাটাল, চন্দ্রকোনার বিভিন্ন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁরা এসেছেন। তিনি বন্যা দুর্গতদের গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী ও বিধায়কদের পাশাপাশি সচিবদের পাঠিয়েছেন। প্লাবিত এলাকা থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করা থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তিনি বলেন, এখনকার বন্যা আলাদা বিষয় আর মাস্টার প্ল্যান আলাদা বিষয়।
প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নজরদারি চলছে। মানুষকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে যা যা করার সব করা হচ্ছে। ঘাটাল মহকুমার বেশ কিছু এলাকা জলের তলায়। জল বাড়ছে নাড়াজল, আগরপাড়া, গোবিন্দনগর এলাকায়। এনডিআরএফ- এর টিম কাজ করছে। মানুষের কাছে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে চন্দ্রকোনা কলেজের পোষ্ট গ্রাজুয়েশনের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।