যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি শিক্ষক সমিতি আবুটা-র

আমাদের ভারত, কলকাতা, ২১ নভেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অনিয়মের তদন্ত এবং পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ উপাচার্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে সোমবার উপাচার্যকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

এক প্রেস বিবৃতিতে আবুটা (সারা বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি)-র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় শাখার পক্ষে গৌতম মাইতি জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় শাখার পক্ষ থেকে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক গণস্মারকলিপি উপাচার্য অধ্যাপক সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে দেখা করে জমা দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে― গত ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২২এ স্মারকলিপি দিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে দাবি করা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে প্রদত্ত পরীক্ষার নিয়মাবলী লঙ্ঘন করেছেন পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বেআইনিভাবে শয়ে শয়ে ছাত্রকে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা ছাড়াই পাস করিয়ে দিয়েছেন। ঢালাও গ্রেস মার্কস দিয়ে অনেককে পাস করিয়ে দিয়েছেন। এমনকি যে ছাত্র কোনও দিন ক্লাসে উপস্থিত থাকেনি তাকেও প্রোমোশন দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এবং অন্য যাঁরা এই কাজে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে। উপাচার্য এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছু সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু ২ মাস সময় চলে যাওয়ার পরও আজ পর্যন্ত কোনও উত্তর আমরা পাইনি।

তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার্থে আমাদের দাবি― (১) পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশ প্রক্রিয়ায় অবাধ দুর্নীতি ও বিধিবহির্ভূত কার্যকলাপে পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্য অধ্যাপক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের ভূমিকার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত আজই ঘোষণা করতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সকলকে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তদন্ত চলাকালীন সহ উপাচার্য সমেত সকল অভিযুক্তকে আইন মাফিক পদ থেকে সাময়িক অপসারণ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। (২) পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করতে হবে। কোনও অস্থায়ী কর্মীকে এধরনের কাজে যুক্ত করা চলবে না। পরীক্ষা সংক্রান্ত চূড়ান্ত গোপনীয় কাজে কোনোভাবেই ছাত্রদের যুক্ত করা যাবে না। (৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশনস প্রদত্ত পরীক্ষার নিয়মাবলী কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

উপাচার্য অবশেষে বলেছেন, বৈধতা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন এবং ৩ দিনের মধ্যে আমাদের লিখিতভাবে জানাবেন।

এইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মদ্যপান ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য সেবন সহ নানা অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটছে যা শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ক্যাম্পাসে বিনষ্ট করছে। এতদসত্ত্বেও প্রশাসন যেভাবে নিষ্ক্রিয় থাকছে তা চরম উদ্বেগজনক। আমরা জরুরি ভিত্তিতে কর্মসমিতির সভা ডেকে ক্যাম্পাসে এধরনের অবাঞ্ছিত কার্যাবলী বন্ধ করতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *