দেরিতে হলেও পেট্রাপোল সীমান্তে পৌছল মেডিকেল টিম, খোলা হল করোনা ভাইরাস হেল্পডেস্ক

আমাদের ভারত, বনগাঁ, ৬ ফেব্রুয়ারি: দেরিতে হলেও উত্তর ২৪ পরগণার পেট্রাপোল সীমান্তে পৌছল মেডিকেল টিম, খোলা হল করোনা ভাইরাস হেল্পডেস্ক। নতুন এই ভাইরাসের হানায় ত্রস্ত চিকিৎসা মহল। নাম নোভেল কোরোনা ভাইরাস। চিনের উহানে প্রথম এই ভাইরাসের দেখা মিলেছে। উহানে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের। রোগের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে তাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরেও। সেখানেও কয়েকজন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সংক্রামক এই ভাইরাস ঠেকাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন 
দেশের বিমানবন্দর সহ স্থলবন্দর গুলিতে কড়া নজরদারিশুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।চিন, তাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে ঘুরে আসা ভারতীয় কিংবা সে সব দেশ থেকে এ দেশে আসা মানুষজনদের 
জন্য আরও কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।ওই সব দেশ থেকে আসা কারও সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলে তাঁকে নিজের দেশে ফেরানোর 
চিন্তাভাবনাও করছে ভারত সরকার।আর ভারতীয়দের ক্ষেত্রে
শুরু হচ্ছে রোগ প্রতিরোধের চিকিৎসা।

সেই মতো পেট্রাপোল বন্দরে বেশ কিছুদিন আগেই মেডিকেল টিম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু সেখানেও দেখা যায় গাফিলতি। তবে দেরিতে হলেও শুক্রবার সকাল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে পৌছাল মেডিকেল টিম। খোলা হয়েছে করোনা ভাইরাস হেল্প ডেস্ক। বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিটি যাত্রীকে পরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে কারোর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আছে কিনা।

যাত্রীদের মধ্যেও সচেতনতার দেখা মিলেছে। বাংলাদেশ থেকে আসা প্রায় প্রতিটি যাত্রীকে মুখে মাক্স পড়ে আসতে দেখা গিয়েছে। যার থেকে স্পষ্ট পেট্রাপোল সীমান্তে কতটা করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন এত দেরিতে মেডিকেল টিম?  প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
হঠাৎ আমদানি হওয়া এই ভাইরাস নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় চিকিৎসক মহলও। আসলে একটি ভাইরাস বিভিন্ন সময় তার জিনগত মিউটেশন ঘটিয়ে নানা ধরনের অসুখ তৈরি করতে পারে। ডেঙ্গি ও ইয়েলো ফিভার দুই রোগেরই কারণ এটি। নোভেল কোরোনা ভাইরাস নিয়েও একই ভাবে শঙ্কিত চিকিৎসকরা। মূলত তাঁদের উপরই এর হানা মারাত্মক, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই শিশু ও বয়স্করাই এর ‘সফট টার্গেট’।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *