আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২ মার্চ: অ্যাকাউন্ট খুললেই প্রতিমাসে মিলবে ১০০ টাকা। আর সেই ফাঁদে পড়ে বিপাকে গ্রামবাসীরা। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার কথা বলে কাগজ পত্র নিয়ে একই নামে একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে চলছে লেনদেন এমনই অভিযোগ উঠল বিডিও অফিসের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ের কিছুই জানেন না অ্যাকাউন্ট হোল্ডারা। দু’বছর পর একজনের পাশ বই হাতে পেয়ে চক্ষুচড়ক এলাকাবাসীর। সেই বই থেকে বিভিন্ন টাকা লেনদেন করা হয়েছে, পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়া গ্রামবাসীদের নামে ব্যাঙ্কের বই থেকে ব্ল্যাকমানি লেনদেন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার তেতুলবেড়িয়া এলাকার। অভিযুক্ত যুবকের নাম দেবাশিষ মণ্ডল। গাইঘাটা বিডিও অফিসের কর্মী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থানার তেঁতুলবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা দেবাশিস মন্ডল, তার এলাকার প্রায় পাঁচশো গ্রামবাসীর কাছ থেকে নথিপত্র নেয় জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য। গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছিল একাউন্টে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে পাওয়া যাবে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দু’বছর কেটে গেলেও কেউ একটি পাশ বইও হাতে পায়নি। এক বার ১০০ টাকা করে পেলেও পরে আর কোনও টাকা তারা পায়নি। সম্প্রতি একজন দেবাশীষের কাছ থেকে বই নিয়ে আপ টু ডেট করে দেখতে পায় তার অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিকবার টাকা লেনদেন করা হয়েছে। যা দেখে হুঁসফেরে গ্রামবাসীদের। একত্রিত হয়ে দেবাশীষের বাড়িতে যান। চেপে ধরাতে দেবাশীষ স্বীকার করে কমবেশি সবার নামে একাধিক একাউন্ট খোলা হয়েছে। যা থেকে টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এই ঘটনায় রবিবার গাইঘাটা থানায় অভিযুক্ত দেবাশীষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জমাদেন এলাকাবাসীরা। এই বিষয়ে এদিন রাতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা গ্রামে একটি সালিশি সভা করেন।
এই বিষয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়ের সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, এই ধরনের কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমারা দেখব ও যাতে বিডিও অফিসে কাজ না করতে পারে। ঘটনার পরে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়িতে কেউ নেই। ঘরে তালা মারা। ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও দেবাশিষ ও তার স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তে গাইঘাটা থানার পুলিশ।