সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৭ আগস্ট: শ্রাবণ সংক্রান্তিতে বাংলার ঘরে ঘরে হয় মনসা পুজো। আর এই মনসা পুজোকে নিয়ে রয়েছে সর্পদেবীর অবাক করা নানান কাহিনী। কাঁটাতারের পাশেই দুই বাংলার সমাগমে আয়োজিত হয় মনসা পুজো। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তের সংযোগ স্থলে। মনসা পুজো উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ মিশে গিয়েছে। বিএসএফ জওয়ানদের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় এই মনসা পুজো। দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে এই পুজো।
যদিও কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপে এবারে বিএসএফ জওয়ানদের বদলে সমস্থ দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ী সমিতি। প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ ভিড় জমায় পেট্রাপোল সীমান্তের এই মনসা পুজোতে। দু’বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে মনসা পুজোর জৌলুশ কিছুটা কমেছিল। বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশে প্রবেশ নিষেধ ছিল বাংলাদেশের মানুষদের। কিন্তু ভিড় কম থাকলেও বিএসএফ আধিকারিকদের নজরদারি চলে একই ভাবে।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি দিপকবাবু বলেন, অনেক বছর আগে বিএসএফ জওয়ান মেজর পাণ্ডে সাহেব কাঁটা তারের বেড়ার পাশ দিয়ে হঠাৎই দৌড়ে কয়েকজন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে ধরতে ক্যাম্প থেকে জঙ্গলের দিকে ছুটেছিলেন। কিন্তু আচমকাই জঙ্গলের মাঝে থমকে দাঁড়ালেন মেজর। কথিত আছে, সেই সময় তিনি দেখতে পেয়েছিলেন মা মনসার পঞ্চমুখী রূপ। এক পা’ও সামনে এগোতে পারলেন না তিনি। সেদিনের মতো চুপ থাকলেও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন, মা মনসার মন্দির নিজে হাতে তৈরি করবেন ওই স্থানে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তৈরি হল মায়ের মন্দির। কালের স্রোতে ভক্তদের বিশ্বাস, ভক্তি আর দান-ধ্যানে মায়ের সেই জায়গা আজ রূপ নিয়েছে অপরূপ মন্দিরে। প্রতিবছরই এই সময় দুই বাংলার অসংখ্য মানুষ আসেন নিয়ম করে৷ প্রায় পাঁচশো কড়াই খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ চলে সারাদিন ধরে।