আমাদের ভারত, ২ ফেব্রুয়ারি: ক্যাগ রিপোর্ট ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে শুক্রবার কড়া মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিতে লিখলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য যাবতীয় পাওনা রাজ্যের গরিব মানুষদের স্বার্থে যেন দ্রুত বরাদ্দ করে দেন। একটার পর একটা অজুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন যেন রাজ্যের পাওনা আটকে না রাখা হয়।
মমতা এদিন ময়দানের প্রতিবাদী সভায় জানিয়েছেন, “বলা হচ্ছে নাকি বেনিয়ম হয়েছে। টাকা খরচ করা হয়নি। আমি একটা স্ট্রং চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছি। এখানে বসেই সই করলাম। ক্যাগ যে কথাটাই জানে না, সেটাই লিখেছে। বলছে ২০০৩ সাল থেকে। আরে ২০০৩ সালে থোড়াই আমরা ছিলাম! ২০১১-র পরে আমরা যখন এসেছি, তখনকার দায়িত্ব নেব। তা সত্ত্বেও বলি, প্রত্যেকটা ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট গেছে। টোটাল মিথ্যা কথা। সত্য কখনও চাপা থাকে না।”
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে মমতার পাঠানো সেই ‘স্ট্রং’ চিঠিতে কী কী বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে? সে কথাও আজ ধর্না মঞ্চ থেকে জানালেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেকটি ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট যে সময়মতো দেওয়া হয়েছে, সে কথা উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে।
প্রধানমন্ত্রী যে সুদীপকে বলেছিলেন, ক্যাগ রিপোর্ট দেখে নেওয়ার জন্য, সে প্রসঙ্গও আজ উঠে আসে মমতার গলায়। বললেন, ‘কী দেখব! পুরো মিথ্যে কথা বলা হয়েছে। ক্যাগের কাছে কোনও তথ্য ছিল না, কী লিখতে হবে, কী লিখতে হবে না। এটি একটি বিকৃত তথ্য, যা বিজেপি দলের তরফে লেখা হয়েছে।’