আমাদের ভারত, ৫ ফেব্রুয়ারি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ সাম্প্রদায়িক বিভেদের আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। একাধিক ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির কারণে রাজ্যজুড়ে নৈরাজ্যের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। হিন্দুরা শান্তিতে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারছে না রাজ্যে। বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানেও। একাধিক জায়গায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। পুলিশের পাহারায় পুজো করতে বাধ্য হয়েছে হিন্দুরা।
সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের নৈরাজ্যবাদী ভয়ভীতির অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে হিন্দু উৎসবগুলির শান্তিপূর্ণ উদযাপন বারবার বিপদের মুখে পড়ছে।” সাম্প্রতিক সময়ের একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তথ্য হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন-
১. নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে সরস্বতী পুজোর আয়োজন পুলিশি পাহারার মধ্যে সম্পন্ন হয়, কারণ টিএমসির আক্রমণের আশঙ্কা ছিল সর্বক্ষণ।
২. বহিরাগত টিএমসি নেতা সাব্বির আলির হুমকির পর যোগেশ চন্দ্র ল’ কলেজে পুলিশি নিরাপত্তা ও হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
৩. নদিয়ার চাপড়ায় দুষ্কৃতীদের দ্বারা ‘বাগদেবী’ প্রতিমার অপবিত্রকরণ হিন্দুদের প্রতি চলমান শত্রুতার জ্বলন্ত প্রমাণ।
৪. হুগলির বলাইবেরিয়া স্কুলে টিএমসি-সম্পৃক্ত ইসলামপন্থী গোষ্ঠী সরস্বতী পুজোর আয়োজন নিষিদ্ধ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশের নিরাপত্তার জন্য বারবার আবেদন জানালেও প্রশাসন নির্বিকার ছিল।
৫. তৃণমূল নেতা আলিমুদ্দিন মণ্ডলের হুমকির কারণে, হরিণঘাটা দাস বেরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশ ও র্যাফ-এর পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে দরজা বন্ধ করে সরস্বতী পুজো সম্পন্ন হয়।”
আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, হিন্দুদের নিজেদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে হলে আদালতের হস্তক্ষেপ ও পুলিশের সুরক্ষা নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। এই ভয়াবহ ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় ক্রমেই ইসলামিকরণের বৃদ্ধি ঘটছে।” অভিযোগের সুরে তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় প্রশ্রয়প্রাপ্ত উগ্রবাদীরা রাজ্যের মৌলিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করছে।
একের পর এক সরস্বতী পুজোয় বাধার ঘটনা তুলে ধরে হিন্দুদের সতর্ক করেছেন এবং জিহাদিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “এই ঘটনাগুলি বাংলার হিন্দুদের জন্য এক সতর্কবার্তা, যাতে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষার জন্য আশ্রয় দেওয়া এই রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষিত জিহাদি শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।”