আমাদের ভারত, ৭ মে: নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের রক্তে ভিজেছিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁও- এর বৈসারন ভ্যালি। তারপর থেকে বদলার আগুনে ফুটছিল গোটা দেশ। প্রত্যাঘাতের দাবিতে পথে সরব হয়েছে দেশের আমজনতা। ১৫ দিনের মাথায় একেবারে কড়ায় গন্ডায় বদলা নিল ভারতীয় সেনা। গোটা দেশ যখন ঘুমিয়ে ঠিক তখনই অ্যাকশনে নামলো ভারতীয় সেনা। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ।
অপারেশন সিঁদুরের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, জয় হিন্দ, জয় ইন্ডিয়া। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা লড়াই করব। এই সময় আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ যেন না থাকে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। প্যানিক হওয়ার কারণ নেই। কারো আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা দেশকে রক্ষা করার সময়।
জরুরি পরিস্থিতিতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুলিশ এসপি, ডিএম, বিডিও সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। মোবিলিটি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ভিজিলেন্সও বাড়ানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের একাধিক আধিকারিকের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলিতে গরমে ছুটি এগিয়ে আনার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, লিখিত বার্তা দিচ্ছি না, মৌখিকভাবে জানাচ্ছি ছুটি এগিয়ে আনলে ভালো। বাচ্চারা বাড়িতে থাকুক। বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করুক। বাংলা মিডিয়ামে যেমন আগেই গরমের ছুটি শুরু হয়েছে।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের তরফে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সেই আবহে সমস্ত সেনার ছুটি বাতিল করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমস্ত আধা সামরিক বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন সতর্ক থাকার।
অন্যদিকে অপারেশন সিঁদুরের পরেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশের ৯টি এয়ারপোর্ট ১০ মে পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জম্মু, শ্রীনগর, লে, যোধপুর, অমৃতসর, ভূজ, জামনগর, চন্ডিগড়, রাজকোট এয়ারপোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।