নীল বণিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৮ ডিসেম্বর:
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ইতিহাস শেষ। এই নাম ভাঙিয়ে আর খাওয়া যাবে না। সোমবার কলকাতায় এই ভাষাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ভয় পেয়েই তৃণমূল নন্দীগ্রামের সভা পিছিয়েছে। আমি কয়েকদিন আগেও নন্দীগ্রামে গিয়েছি। তৃণমূলের সঙ্গে আর লোক নেই। তাই দলীয় বিধায়কের করোনা হয়েছে এই অজুহাত দিয়ে নন্দীগ্রামে সভা করছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের দলীয় বিধায়ক অখিল গিরির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় এই সভা পিছিয়েছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না। সেই কথা বিলক্ষ্মণ বুঝেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার সভা পিছিয়ে দিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষের কটাক্ষের তীব্র প্রতিবাদ করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের মূল সংগঠক অখিল গিরির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এই জন্যই আমরা সভা কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছি। তার মানে এই নয় যে নন্দীগ্রামে সভা করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই নন্দীগ্রামে সভা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সময়ে নন্দীগ্রামের সভা না করতে পারা তৃণমূলের কাছে রাজনৈতিক ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অখিল গিরি বাদে শুভেন্দুর গড়ে সেভাবে তৃণমূলের যে আর মুখ নেই, শাসকদলের হাবেভাব তা প্রমাণ করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।