আমাদের ভারত, ২৭ ডিসেম্বর: মনমোহন সিং- এর প্রয়াণে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এক্সবার্তায় লিখেছেন, “আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’জির আকস্মিক মৃত্যুতে গভীরভাবে স্তম্ভিত এবং দুঃখিত। আমি তাঁর সাথে কাজ করেছি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাঁর পাণ্ডিত্য এবং প্রজ্ঞা ছিল প্রশ্নাতীত, এবং দেশে তিনি যে আর্থিক সংস্কারের সূচনা করেছিলেন তার গভীরতা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।
দেশ তার নেতৃত্ব হারাবে, আমি তাঁর স্নেহ থকে বঞ্ছিত হব। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অনুগামীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।
অন্যদিকে ডঃ মনমোহন সিং-এর প্রয়াণে শোক জানালেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক শুক্রবার এক্সবার্তায় লিখেছেন, “ভারত আজ তাঁর অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ককে হারিয়েছে। ডক্টর মনমোহন সিং-এর সামগ্রিক কীর্তি তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে খ্যাতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারের একজন স্থপতি ছিলেন। সেটি আমাদের জাতির ভবিষ্যৎকে নতুন পরিচয় দিয়েছে।
ড: সিং শান্তভাবে শক্তির সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রমাণ করেছেন যে নেতৃত্বর পরিচয় দৃষ্টিভঙ্গি, আয়তনের নয়। আমার চিন্তা ও প্রার্থনা তাঁর পরিবারের প্রতি। যাঁরা এই গভীর ক্ষতিতে শোক করছেন আমি তাঁদের সাথে রয়েছি।”
এদিন ডঃ মনমোহন সিং-এর প্রয়াণে শোক জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণাল সংসদ অধিবেশনে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফ্রেমে দেওয়া ছবি-সহ শুক্রবার এক্সবার্তায় লিখেছেন, “ডঃ মনমোহন সিং প্রয়াত। তিনি শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, তিনি দেশের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। নরসিংহ রাওয়ের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে উদারনীতি, সময়োপযোগী সংস্কারের পথপ্রদর্শক। দেশের অর্থনীতির নতুন যুগের সূচনাকারী।
পরে ২০০৪-২০১৪, দশ বছরের প্রধানমন্ত্রী। পন্ডিত, বিনয়ী, আপাদমস্তক ভদ্রলোক, মিতভাষী মানুষটিকে তাঁর দল প্রয়োজনে সামনে এনেছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাপ্য সম্মান যথাযথভাবে দিয়েছিল কি না, বিতর্ক থাকবেই। ডঃ সিংয়ের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা। আজকের রাজনীতিতে বিরলের মধ্যে বিরলতম মানুষটির মূল্যায়নের কাজ আশা করি আগামী দিনে হবে।”