আমাদের ভারত, বাংলাদেশ, ২৪ জুলাই: বাংলাদেশে ‘হিংসাত্মক আন্দোলন’ দমনে সরকারের ভূমিকাকে স্বাগত জানাল মালয়েশিয়া। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশে দেখা করেন মালয়েশিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার হাজনাহ মো: হাশিম।
ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, সে বিষয়ে হাশিম প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে আপনার সামর্থ্যের ওপর আমার আস্থা আছে। আপনি পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ও ভালোভাবে মোকাবিলা করছেন আর এটি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়।’ মালয়েশিয়া দূতের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি দেখছেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমল থেকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও বিদ্যমান সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
সূত্রের খবর, মালয়েশিয়াকে তাদের পেরোডুয়া ব্র্যান্ডের গাড়ি বাংলাদেশে তৈরির সুযোগ স্থাপনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে হাজনাহ মো: হাশিম বলেন, স্থানীয় পিএইচপি মোটরস বাংলাদেশে মালয়েশিয় ব্র্যান্ড পেরোডুয়া গাড়ির যন্ত্রাংশ সংযোজন করছে। পিএইচপি গোষ্ঠীর পিএইচপি মোটরস মালয়েশিয়ার পেরোডুয়ার সাথে তাদের গাড়ি ও এসইউভিগুলি বাংলাদেশে একত্রিত করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার জন্য চুক্তি করেছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এগুলোই বাংলাদেশ মূলত দু’টি টেলিযোগাযোগ সংস্থা রবি ও এডটকো চালাচ্ছে। সেই মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ হচ্ছে বাংলাদেশে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মালয়েশিয়ার বেশ কিছু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এ বিষয়ে হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সেই সঙ্গে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য সুবিধা তুলে ধরে দূত বলেন, তাঁদের অনেক হাসপাতাল সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি। চিকিৎসা সেবা বিবেচনা করলে খরচ সে তুলনায় কম। তাই, বাংলাদেশিরা সেখানে স্বাস্থ্য সুবিধা নিতে পারেন। কারণ, সিঙ্গাপুরের ৭০ জনেরও বেশি চিকিৎসক মালয়েশিয়ার।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে মালয়েশিয়ার বিদায়ী দূতের এই বৈঠকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।