Mahakumbho, । । ৪। । ‘জনম অবধি হম রূপ নেহারনু নয়ন না তিরপতি ভেল।’ — বিদ্যাপতি

*মহাকুম্ভ ২০২৫*

অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২৩ জানুয়ারি:
মহাকুম্ভ মেলা, বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে এবছর ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ এই মেলা হিন্দু ভক্তদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে, যারা সঙ্গমে পবিত্র স্নানের জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসেন৷ উত্তর প্রদেশ সরকার ৪৫ দিনের ইভেন্টের জন্য সারা বিশ্ব থেকে ৪০ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী এবং ভক্তদের পদযাত্রার আশা করছে। ধর্মীয় সমাবেশ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতার সঙ্গমে যুক্ত হবেন এই ভক্তরা।

কুম্ভ মেলার ইতিহাস অষ্টম শতাব্দীর হিন্দু দার্শনিক আদি শঙ্করাচার্যের কাছে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী এবং তপস্বীদের নিয়মিত সমাবেশে তিনি উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি মঠ ব্যবস্থা এবং ১৩টি আখড়া তৈরি করেন। আর সেগুলিকে দেখভালের জন্যে নিয়োগ করেন নির্ভীক সন্ন্যাসীদের, তারাই পরবর্তীতে হন নাগা সন্ন্যাসী।

মহা কুম্ভ মেলা হল কুম্ভ মেলার সবচেয়ে বিরল এবং সবচেয়ে পবিত্র সমাবেশ। কুম্ভের চারটি ভিন্ন প্রকার রয়েছে: পূর্ণ (সম্পূর্ণ) কুম্ভ মেলা, অর্ধ (অর্ধ) কুম্ভ মেলা, কুম্ভ মেলা এবং মহা (মহা) কুম্ভ মেলা। প্রতি তিন বছর অন্তর হরিদ্বার, উজ্জয়িন, নাসিক এবং প্রয়াগরাজে নদীর তীরে ঘূর্ণায়মান ভিত্তিতে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। অর্ধ কুম্ভ মেলা প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার এবং প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ণ কুম্ভ মেলা প্রতি ১২ বছর অন্তর চারটি পবিত্র স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণ করে সেই কুম্ভ মেলা গুলি।

ওপরের তথ্যগুলো ধার করেছি গত ১৩ জানুয়ারি ওয়ান ইন্ডিয়া ডিজিটাল থেকে। তারা বিশদে আলোচনা করেছে কেন কুম্ভ ১৪৪ বছরে একটা পৃথক গুরুত্ব নিয়ে আসে বা কুম্ভ মেলার প্রকারভেদ নিয়ে। মহা কুম্ভ মেলা প্রয়াগরাজে পালিত হয় ১৪৪ বছরে একবার, ১২টি কুম্ভ মেলা চক্রের সমাপ্তি উপলক্ষে। শাহী স্নান বা পবিত্র স্নান দিয়ে এই মহান অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়। বিভিন্ন আখড়ার সাধু ও সন্ন্যাসীরা শুভ দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পবিত্র স্নান করেন। হিন্দু রীতি অনুসারে চাঁদ, সূর্য এবং বৃহস্পতির গতিবিধির উপর কুম্ভ মেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *