Doctor, Abhishek Banerjee, মিথ্যা বলছেন, ক্ষমা চাইতে হবে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন চিকিৎসকরা

আমাদের ভারত, ৯ সেপ্টেম্বর: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। দ্রুত বিচারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ, কর্ম বিরতি পালন করছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আর জি করে মৃত্যু ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। আর জি করে ওই যুবকের মৃত্যুর পরে এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পোস্ট করেছিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েও বিনা চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার অভিষেকের সেই পোস্টের জবাব দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ করায় তাকে ক্ষমা চাইতে বললেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।

ইতিমধ্যেই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিষেককে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছেন চিকিৎসকদের এই সংগঠন। রবিবার জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের তরফে অভিষেককে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, আপনি ৬ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন যে, আর জি করের বিক্ষোভের জেরে কোন্নগরের এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় কোনো চিকিৎসা ছাড়াই তিন ঘন্টা পড়েছিলেন। বাস্তবের ৯টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটায় যুবকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তার চিকিৎসা হয়েছে। আপনার ভিত্তিহীন দাবির জন্য চিকিৎসকরা বিপদে পড়তে পারেন। অযাচিত হিংসাকে উস্কে দিতে পারে। আমাদের দাবি, নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আপনার এই ভুল তথ্য প্রচার বন্ধ করুন।

শুক্রবার হুগলির কোন্নগরে বিক্রম ভট্টাচার্য নামে এক যুবক দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে আর জি কর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয় বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় সেখানে তিন ঘন্টা পড়েছিলেন ওই যুবক।

অন্যদিকে শ্রীরামপুরের ওই হাসপাতালের সুপার দাবি করেছেন, বিক্রম ভট্টাচার্য বলে ওই যুবককে আর জি কর মেডিকেলে রেফার করাই হয়নি। তাকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজে। এইদিকে আর জি করের এম এস ভিপি জানান, চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তাদের কাছে রয়েছে।
এই আবহেই পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে অভিষেককে পোস্টের জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিষেক লিখেছিলেন, যদি প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হয় তাহলে তা গঠনমূলকভাবে করা উচিত। সহানুভূতি ও মানবতার সঙ্গে করা উচিত। যাতে নিষ্ক্রিয়তা বা অবহেলার মাধ্যমে আর কোনো জীবন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য। কিন্তু তা বলে আন্দোলনের ফলে চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যুর অপরাধযোগ্য হত্যাকাণ্ডের সমতুল্য। কিন্তু বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর। তারপরেই তার নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানিয়ে চিঠি দেয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *