রাজেন রায়, কলকাতা, ৩ আগস্ট: বারবার দিনবদলের পরেও রাম মন্দিরের শিলান্যাস ও ভুমিপুজোর দিনে লকডাউন রাখা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিজেপি অহেতুক রাজনীতি করছে বলে তাদের তোপ দাগলেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন, ‘রাম মন্দিরের সঙ্গে লকডাউনের কোনও সম্পর্ক নেই।‘ সোমবার চেতলায় রাখীবন্ধন উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ৫ আগস্ট লকডাউন নিয়ে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই এদিন পাল্টা কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন ফিরহাদ। অন্য দিকে রাজ্যপালের আর্থিক নয়-ছয় মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
রাম মন্দির সংক্রান্ত বিষয়ে এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন নিজে করোনা আক্রান্ত, তাঁর সুস্থতা কামনা করে বলি, সারা ভারতবর্ষের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই বাংলার সরকার সব সময় চাইছে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকুক। তার জন্যই ৫ তারিখ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এটা নিয়ে রাজনীতি না করাই ভালো। আমরা সব ধর্মকেই শ্রদ্ধা করি। সব ধর্মের ধর্মীয় আচরণকেই শ্রদ্ধা জানাই। লকডাউন মানুষের স্বার্থে। এটা কোনও রাজনৈতিক বিরোধিতা করার মঞ্চ নয়। রাজনীতি করার সময় নয়। এ সময় মানুষকে বাঁচানোর সময়। তাই এ বিষয়ে সকলের উদ্যোগী হওয়া উচিত।’
রাজ্যের শিল্প সম্মেলন এ টাকা নয়ছয় হওয়া নিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তীব্র আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘চোরো কো আতি হে নজর সারে জাহা চোর হে। যারা টাকা চুরি করে তারাই সব সময় ভাবে সবাই টাকা চুরি করছে। কেন্দ্রের নিযুক্ত লোক রাজ্যের সিএজি সার্টিফাই করেন। রাজ্যের সমস্ত খরচ সি এ জি দেখে। তারা সব রাজ্যের হিসেব সার্টিফাই করে। ঠিক সেরকম আমাদের রাজ্যেও কেন্দ্রের দ্বারা হিসেব-নিকেশ হয়ে সার্টিফাইও হয়। সেখানে কখনও এডভার্স রিপোর্ট যায়নি। বিজেপির যাঁরা এসব কথা বলেন, তারা বালখিল্য কথা বলেন। শিক্ষিত ভালো, অর্ধশিক্ষিত ভালো নয়।’