অর্পিতার চালে কুপোকাত বিপ্লব, দক্ষিণ দিনাজপুরে ফের তৃণমূলে ফিরলেন সভাধিপতি লিপিকা রায়

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২২ ডিসেম্বর: বিজেপিকে বিপাকে ফেলে জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে তৃণমূলে ফেরালেন অর্পিতা। জেলা সভাপতির চালে মুখ পুড়ল বিপ্লব মিত্রের। বিজেপির হাতছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদ। বিজেপির জেলা সভাপতি পরিবর্তনের পরেই দলে এমন ধারাবাহিক ভাঙনে কিছুটা প্রশ্নের মুখে পড়েছে সাংগঠনিক অবস্থা। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞার দল ছাড়ার পর এবার বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়। পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষের গোপন কৌশলে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। বিগত কয়েক মাস আগে প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে দিল্লিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সভাধিপতি সহ জেলা পরিষদের দশ সদস্য। যেখান থেকে ফিরতেই তাদের একে একে ছয়জনকে দলে ফিরিয়েছেন তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। রবিবার সকালে বালুরঘাটে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে লিপিকা রায়ের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অর্পিতা ঘোষ। যেখানে জেলা সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি দেবাশিষ মজুমদার সহ অনান্য জেলা নেতৃত্বরা।

দলবদলের পরেই সিএএর প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সভাধিপতি লিপিকা রায়। তিনি বলেন, ভুল করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। যা বুঝতে পেরেই ফের দলে ফিরে এসেছেন। তিনি এখন তৃণমূলের সৈনিক। জেলার উন্নয়নে সকলের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে যাবেন।

১৮ আসনের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে এদিন সভাধিপতির যোগদানের ফলে ১৪ টি আসন পকেটে এল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি চার সদস্যের মধ্যে তিন জন বিজেপিতে থাকলেও পূর্তকর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞা বর্তমানে বিজেপি ছেড়ে নির্দলে রয়েছেন। আগামী দিনে এই সব সদস্যকেও তৃণমূলে ফিরিয়ে আনবেন বলে আশাবাসী জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, জেলা পরিষদে তৃণমূল সংখ্যা গরিষ্ঠ। বেশ কিছু সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। বর্তমানে সকলেই তাঁদের ভুল বুঝতে পারছেন। আগামীতে সকলেই তৃণমূলে ফিরে আসবেন।

গত জুন মাসের শেষের দিকে জেলা তৃনমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে দিল্লীতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সভাধিপতি সহ জেলা পরিষদের দশ সদস্য। দিল্লি থেকে ফিরেই যাঁদের মধ্যে একে একে ৬ সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সম্প্রতি পূর্তকর্মাধ্যক্ষ বিজেপি ছেড়ে নির্দল হিসাবে রয়েছেন।
এমন সব ঘটনায় ২১শের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলায় যে বড়সড় ধাক্কা খেলো বিজেপি দল তা যেন বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহল।

যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মণ জানিয়েছেন, বিজেপি দলটাকে বুঝতে না পেরেই দল ছেড়েছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *