আমাদের ভারত, ৭ নভেম্বর: বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বলে দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন কুণাল ঘোষ। আর তার সেই পোস্টকে কটাক্ষ করে কুণালকে এবং অভিষেকে এক হাত নিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। কুণাল ঘোষকে তিনি চটি এবং বুট চাটা বলে যেমন কটাক্ষ করলেন, তেমনি অভিষেককে বললেন তর সইছে না এখনই চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের আগামী মুখ্যমন্ত্রী বলে উল্লেখ করে কুণাল ঘোষের পোস্টকে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ওনার তর সইছে না। সে তো চাইছে এখনই চেয়ার থেকে নামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে। তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। কে মুখ্যমন্ত্রী হবে এ নিয়ে লড়াই চলছে।”
অন্যদিকে কুণালকে ভীতহীন রাজনীতিক বলে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কুণাল ঘোষের মত ভেসে থাকা লোকেরা যাদের রাজনীতিতে বেস নেই তারা দুদিকে চেটে যাচ্ছে। কখনো হাওয়াই চটি চাটছে কখনো বুট চাটছে। যেদিকে যত বেশি পরিষ্কার হবে সেদিকে মালকরি কামাবো।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, রাত পোহালেই অভিষেকের জন্মদিন খুব ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, চোখের সমস্যাটা একদম ঠিক হয়ে যাক। কম বয়সেই যোগ্য নেতৃত্বের যে ছাপ অভিষেক রাখছে সময়ের সঙ্গে তা আরও ব্যাপকতর হতে থাকুক। আমি নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি, বা না থাকি এই উদীয়মান তারকার উপর গুরুত্বসহ নজর রাখবোই। বয়সে ছোট, কিন্তু যতদিন আমি তৃণমূলে সক্রিয় থাকবো ও আমার নেতা। তাই বাইরে স্নেহ করি ভালোবাসি। মমতাদিকে দীর্ঘকাল দেখেছি এখন অভিষেককেও দেখছি। দ্রুত আরো পরিণত হয়েছে। আবেগের সঙ্গে মিশছে আধুনিক পদ্ধতি প্রযুক্তি। আরো ধারালো হচ্ছে অভিষেক। সময়ের নিয়মে মমতাদির পর একদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি থেকে যুগান্তরের পতাকায় কান্ডারী। মমতাদির ঘরানার সময়োপযোগী ধারক ও বাহক। মমতাদির নেতৃত্ব চলতে থাকুক, আর তার মধ্যে আগামীর পদধ্বনি হতে থাকুক বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক চালচিত্রে।”