আমাদের ভারত, ১৯ সেপ্টেম্বর: বামপন্থী বিচারধারা ভয়ঙ্কর এবং ক্ষতিকর, এমনটাই দাবি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। তাঁর কথায় স্কুলের শিশুদের তাদের গোপনাঙ্গের বিষয় জিজ্ঞাসা করা হয়, এটা বাম মানসিকতা। এমন বিচারধারায় মানুষ মনে করেন তারা সর্বশক্তিমান। বামপন্থীরা নিজেদের ভগবান মনে করেন। নিজেদের বৈজ্ঞানিক ভাবেন। আসলে তা নয়।
রবিবার পুনেতে একটি মারাঠি পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। সেখানে তিনি বলেন, “আমি গুজরাটের একটি স্কুলে গিয়েছিলাম। সেটা একটা কিন্ডার গার্ডেন স্কুল। সেখানে একটি নির্দেশিকা আমার চোখে পড়ে। নিজেদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে কেজি টু ক্লাসের পড়ুয়ারা কতটা ওয়াকিবহাল জানার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাকে যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। দেখুন বামপন্থী সিস্টেম কত দূর পর্যন্ত সমাজে হামলা চালিয়েছে।”
তাঁর দাবি, বামপন্থীরা গোটা বিশ্বের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। একমাত্র ভারত পারে বিশ্বকে এই সঙ্কট থেকে মুক্ত করতে। তাঁর কথায়, বামপন্থীরা
দুনিয়াজুড়ে সাংস্কৃতিক মার্ক্সবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর সেটা আসলে আমাদের সংস্কৃতির ওপর হামলা। বামপন্থা মার্কসবাদের নাম করে ভুল আদর্শ এবং সিদ্ধান্তের প্রচার করে চলেছে যা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক।
ভাগবত বলেন, এটা শুধু সমাজের নয়, আমাদের পরিবারকেও প্রভাবিত করেছে। সমাজের একজন সদস্য হিসেবে আমাদের এ বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। দুনিয়াকে এই সঙ্কট থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব ভারতের।
ওই একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী পন্ডিত। তিনি বলেন, তিনি হিন্দু হিসেবে গর্ববোধ করেন। আরএসএস এর সঙ্গে রয়েছেন বলেও গর্ববোধ করেন। কারণ অতি বামেদের সঙ্গে লড়তে গেলে এটা দরকার। তিনি এর আগে পুনেতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ছিলেন। পরে তিনি প্রথম জেএনইউ এর উপাচার্য হন।