আমাদের ভারত, ৩১ মে: গুরুগ্রাম থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে গার্ডেনরিচ থানা। কলকাতার আনন্দপুরের বাসিন্দা ধৃত শর্মিষ্ঠা পানোলি। তিনি পুণেতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁর গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পৃথক ব্যাখ্যা দিল কলকাতা পুলিশ।
শনিবার সামাজিক মাধ্যমে ওই ব্যাখ্যায় জানানো হয়েছে, “গার্ডেন রিচ পুলিশ স্টেশনের মামলা নং ১৩৬ ১৫.০৫.২০২৫ তারিখের উল্লেখ করে, একজন আইন ছাত্রীকে বেআইনিভাবে গ্রেফতারের বিষয়ে কিছু সামাজিক মাধ্যমের বক্তব্য বাস্তবিকভাবে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর।
ওই ব্যাপারে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল। নোটিশ দেওয়ার জন্য সমস্ত চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই তিনি পালিয়ে যান। ফলস্বরূপ, উপযুক্ত আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পরে তাকে গুরগাঁও থেকে আইনত গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাঁকে উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করিয়ে, আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসারে অন্তর্বর্তী হেফাজত মঞ্জুর করা হয়। আমরা যাচাই না করা বা অনুমানমূলক বিষয়বস্তু ছড়ানো থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিরত থাকার এবং তথ্যের মূল উৎসের উপর নির্ভর করার জন্য অনুরোধ করছি।”
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার ও তাতে পাকিস্তানের মদতদানে অনেকে তীব্র নিন্দা করেছেন। কিন্তু তারই মধ্যে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসে শর্মিষ্ঠা পানোলির কনটেন্ট। তিনি পহেলগাঁও হামলার পর যে কনটেন্ট তৈরি করেছিলেন, তাতে ক্ষুব্ধ এদেশের সংখ্যালঘুরা। অভিযোগ ওঠে, অশান্তি তৈরি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছেন তিনি। অবশেষে কলকাতা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে তাঁকে।
সূত্রের খবর, অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়ায় বিতর্কের জেরে ওই ভিডিয়ো ডিলিট করে দিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন শর্মিষ্ঠা। তার পরেও তাঁকে গ্রেফতারে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।