আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২২ জুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিল করমন্ডল এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার কথা। করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত পূর্ব মেদিনীপুরের একজনের পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ কেউ চাকরি পেলেও এখনো অনেকেই পাননি, বলে দাবি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর এমনই অভিযোগ, করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত যুবকের পরিবারের।
ঠিক এক বছর আগে গত বছর ২ রা জুন ওড়িশার বালাসোরে একটি মালবাহী ট্রেন সহ দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রেন দুটি হল ১২৮৪১ করমন্ডল এক্সপ্রেস ও ১২৮৬৪ বেঙ্গালুরু-হাওড়া এসএফ এক্সপ্রেস। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়। সেই দুর্ঘটনায় মৃত পশ্চিম বঙ্গের রেল যাত্রীদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি একটি করে সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকে সরকারি চাকরি পেলেও এখনো সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন করমন্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত মানস মাইতির পরিবার।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানা এলাকার মানপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মানস মাইতি-র স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘোড়াই মাইতি জানান, দুর্ঘটনার প্রায় এক মাস পরে খোঁজ পাওয়া গেছিল মানসের মৃতদেহের। পরিবারের অভিযোগ, ওই একই করমন্ডল এক্সপ্রেসের অন্য যাত্রী, মৃত মানসের সহযাত্রীর পরিবার সরকারি চাকরি পেলেও বঞ্চিত রয়েছেন তারা। বহুবার নবান্নে ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আর্থিক সাহায্য পেলেও এখনো মেলেনি সরকারি চাকরি। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাসের ওপর ভরসা রেখে পরিবারের লোকজন এখনো অপেক্ষা করছেন একটা সরকারি চাকরির। চাকরি পেলে সংসারটা কোনো রকমে বেঁচে যাবে বলে এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন তারা।
দূর্ঘটনার পর বহু ক্ষেত্রে বিবিধ সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে থাকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আশ্বাস আর বাস্তব রূপ পায় না। করমন্ডল এক্সপ্রেস এর যাত্রী মানস মাইতির স্ত্রীর জন্য একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার চাইছেন মানসের প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরাও।