Sukanta, BJP, রক্ত মেশা জলে ভেসে যাচ্ছে কলকাতার রাস্তা! ভাইরাল ভিডিও নিয়ে হৈচৈ, সুকান্তর দাবি গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির পরিকল্পনার বাস্তবায়ণ মমতা সরকারের

আমাদের ভারত,‌ ৯ জুন: ইদের ঠিক পরের দিন রক্ত মেশা জলে ভেসে যাচ্ছে কলকাতার রাস্তা। কলকাতা পৌরসভার অধীন চৌরঙ্গী এলাকায় একাধিক এলাকায় ট্যাপ থেকে রক্ত মেশানো জল আসার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের জন্য অন্যতম উদাহরণ এই ঘটনা।

কলকাতার পাক সার্কাস, চৌরঙ্গী এলাকায় বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে গোটা এলাকা কার্যত লাল রক্ত মেশানো জলে ভেসে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকা আবার সেই রক্ত মাখা জল প্রায় হাঁটু ছুঁয়েছে। তার মধ্যে দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেন নিয়ে “আমাদের ভারত।” কিন্তু এই ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি, হিন্দু সেবা দলের মতো সংগঠনগুলি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতো সরব হয়েছেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণ জ্যোতি তিওয়ারিও।

৪৪ নম্বর ওয়ার্ড, মহাত্মা গান্ধী রোড এবং স্যামডল স্ট্রিটের একটি ভিডিও মারাত্মক ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুরো এলাকার থৈ থৈ করছে রক্ত মেশা জলে। ভাইরাল ভিডিওতে এক মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে ইদের পর এলাকায় এমন রক্ত মেশানো জল আসছে।

এই ভিডিওগুলি পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ইদের ঠিক পরের দিন রীতিমতো নারকীয় অবস্থা। কলকাতা পৌরসভার অধীন চৌরঙ্গী সহ একাধিক এলাকায় ট্যাপ থেকে রক্ত মেশানো জল আসার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কলকাতার কিছু নির্দিষ্ট এলাকা থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ষড়যন্ত্র সফলভাবে বাস্তবায়ণ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, যিনি মিনি পাকিস্তানের স্থপতি হিসেবে পরিচিত। তিনি আরো লিখেছেন, ওই এলাকায় স্থানীয় হিন্দুদের ক্রমাগত হুমকি ও ভয় দেখানো হয়, এবং তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি যখন হিন্দুদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সহিংসতা সংগঠিত হয় তখন কখনো প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ করে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সাম্প্রদায়িক অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হয়। বিশেষ নির্দেশের কারণে প্রশাসন ও কার্যত ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্মুখীন হচ্ছে, তা এখন ইচ্ছাকৃতভাবে কলকাতায় প্রতিলিপি করা হচ্ছে। গতকাল একটি বিশেষ ধর্মীয় উৎসবের পর আজ কলকাতার রাস্তায় দেখতে পাওয়া এই দৃশ্য মহাসড়যন্ত্র ও আরও একটি উদাহরণ উন্মোচিত করেছে। তাঁর কথায়, শাসক দল এই পরিস্থিতিকে যতই ন্যায্য বলে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, রাজ্যে জনগণের কাছে এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে বাঙালি হিন্দুদের ধর্মীয় নিপীড়নের জন্য একমাত্র দায়ী পশ্চিমবঙ্গে তোষণ প্ররোচিত মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *