হাইকোর্টের নির্দেশে জোর ধাক্কা খেল মমতার সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলন

আমাদের ভারত,২৩ ডিসেম্বর:”নো সিএএ বা নো এনআরসিস”, তৃণমূলের এই আন্দোলন বেশ খানিকটা ধাক্কা খেলো। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় এবার বেশ কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হলো রাজ্য। কারণ হাইকোর্ট জানিয়ে দিল সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় কোন বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।

মুখ্যমন্ত্রী মত একটি সাংবিধানিক পদে থেকে সংসদের উভয় কক্ষের পাশ হওয়া এবং রাষ্ট্রপতি সই করা এই আইনের কিভাবে বিরোধিতা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী? এই মর্মে হাইকোর্টের একগুচ্ছ মামলা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। একইসঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবের জেরে ক্ষতিপূরণ চেয়েও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রেল।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সেইসব মামলার শুনানি হয়। হাইকোর্টে প্রশ্ন ওঠে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে জনস্বার্থে প্রচারিত এনআরসি ও সিএএ লাগু হবে না, সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের বিজ্ঞাপন কিভাবে দেওয়া হচ্ছে?প্রশ্ন ওঠে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হচ্ছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, তাহলে ইন্টারনেট পরিষেবা এখনোও বন্ধ কেন?

প্রধান বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, সিএএ ও এনআরসি বিরোধি বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা খুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট নির্দেশ দেন সরকারি টাকায় কোথাও কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া চলবে না। সংবাদ মাধ্যম, ওয়েবসাইট সহ সমস্ত জায়গা থেকে সব বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে হবে রাজ্য সরকারকে। একইসঙ্গে রেলকে নির্দেশ দেন তাণ্ডবের কারণে তাদের কত টাকা ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে। রেল কি ব্যবস্থা নিয়েছে তার রিপোর্টও জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।

নাগরিকত্ব এনআরসি প্রতিবাদ করে শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু সোমবার আদালতের নির্দেশে বেশ খানিকটা ধাক্কা খেলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *