পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২২ এপ্রিল: কোলাঘাট ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ দেনান খাল দিয়ে আমলহান্ডা, সাগরবাড়, পুলশিটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ অংশের জলনিকাশী হয়ে থাকে।
শুধু তাই নয়, “দেনান-দেহাটি জলনিকাশী প্রকল্প” কার্যকর হলে দেহাটি খালের সাথে দেনান খালের সংযোগের মধ্য দিয়ে পাঁশকুড়া ব্লকের পাঁশকুড়া-১ ও কেশাপাট এবং কোলাঘাট ব্লকের সিদ্ধা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আরো প্রায় ২০টি মৌজার জলনিকাশী হওয়ার কথা ঐ খাল দিয়ে। এহেন গুরুত্বপূর্ণ নিকাশী খালে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র অ্যাশপন্ডের ছাইমিশ্রিত জল ফেলে খালটি ছাইয়ে মজিয়ে দিয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে- অপরিকল্পিতভাবে খালের ভেতরে লাগানো বনসৃজনের গাছ। সেগুলি পড়ে গিয়ে জলস্রোত আটকে যাওয়া ও কচুরিপানা জনিত সমস্যা। সব মিলিয়ে খাল দিয়ে বর্ষার জলনিকাশী ও বোরো মরশুমে জলসেচ হয় না বললেই চলে। যে কারণে গত বর্ষার দু’মাস পরও সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি মৌজায় হাঁটু সমান জল জমে থাকার ফলে চাষিরা আমন ধান বাড়িতে তুলতেই পারেনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে কোলাঘাট ব্লকের বিডিও এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিকের নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সেচ দপ্তরের এসডিও খাল পরিদর্শনে আসেন। খালটি অবিলম্বে পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানিয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজারকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আগামী বর্ষার আগেই খালটি সংস্কার করবার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। ইতিমধ্যে গত ২০শে এপ্রিল প্রায় এক কোটি টাকা এজন্য বরাদ্দ করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সেচ দপ্তরের পূর্ব মেদিনীপুর ডিভিশনের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি পাঠিয়েছে।
কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানান, গতকাল ২১শে এপ্রিল এ বিষয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার দীপঙ্কর দাশগুপ্তকে ডেপুটেশন দেওয়া হলে উনি টাকা মঞ্জুরের বিষয়টি জানান। এবং আগামী বর্ষার পূর্বেই খালটি সংস্কার করার কথাও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে বলে উনি ডেপুটেশনের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন। নারায়ণবাবু বলেন, আগামী বর্ষার পূর্বে নিকাশী ওই খালটি সংস্কার করতে গেলে এখনই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার। এজন্য আগামী ২৫ শে এপ্রিল সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

