পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩ ফেব্রুয়ারি: বালুরঘাটে জেলা কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভায় খিচুড়ি খাওয়ার ভিড়। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহার ও আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থন জানানোর অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঢালাও খিচুড়ি বিলি কংগ্রেস নেতৃত্বদের। লোক টানতেই এমন কৌশল অভিযোগ বিরোধীদের। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে অবস্থান সত্যাগ্রহের মধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এদিন সকাল দশটা থেকে বালুরঘাটে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনের রাস্তায় তাদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়। যে কর্মসূচিকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর নেতা কর্মী ও সমর্থকরা প্রথমে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে বালুরঘাট শহরে মিছিল করে সমাবেশ মঞ্চের সামনে সমবেত হন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। এদিন সেই কর্মী সমর্থকদের ধরে রাখতে মঞ্চের পাশে ঢালাও খিচুড়িও পরিবেশন করতেও দেখা গিয়েছে নেতৃত্বদের। এদিকে ওই সভাতে খোদ জেলা সভাপতির অনুপস্থিতিও উস্কে দিয়েছে জেলায় কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে। এদিনের এই সভা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেও জানিয়েছেন জেলা সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী।
যদিও সংগঠনের দাবি কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। কেন্দ্রের এই কালা আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন রত কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা ও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস জানানো হয় এদিনের অবস্থান সত্যাগ্রহের মঞ্চ থেকে। আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের দমনপীড়ন নীতির তীব্র বিরোধীতা মঞ্চ থেকে করতে দেখা যায় জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
প্রাক্তন জেলা কংগ্রেস সভাপতি গোপাল দেব জানিয়েছেন, এই বিল চালু হলে দেশের কৃষকরা যেমন তাদের ন্যায্য ফসলের দাম পাবেন না। তেমনি চাষবাসে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের মানুষকে অভুক্ত পেটে দিন কাটাতে হবে। অবিলম্বে এই কালা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি। সকাল থেকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকজনদের সামান্য আহারের ব্যবস্থা করতেই ওই খিচুড়ির আয়োজন করা হয়েছিল।
বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতাদের কথা মানুষ আর শোনে না। আর সেই কারণে সভায় লোক ধরে রাখতেই ঢালাও খিচুড়ির ব্যবস্থা।